লাউ শাকের ১৩টি জরূরী উপকারিতা - গর্ভাবস্থায় লাউ শাক খাওয়ার উপকারিতা
লাউ শাকের উপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় লাউ শাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে যদি জানার জন্য এখানে এসে থাকেন তাহলে আপনি সঠিক কাজ করেছেন। আমি এখানে আপনাকে লাউ শাক খাওয়ার এমন ১৩ টি উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো যা আমরা অনেকেই জানিনা তাই চলুন জেনে আসি।
আজকে আমরা এই আর্টিকেলে লাউ শাকের উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় লাউ শাক খাওয়ার উপকারিতা, লাউ শাকের অপকারিতা, লাউ শাকের পুষ্টিগুণ এবং লাউ শাকের রেসিপি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক আজকের আলোচনা।
পেইজ সূচিপত্রঃ লাউ শাকের উপকারিতা - গর্ভাবস্থায় লাউ শাক খাওয়ার উপকারিতা
লাউ শাকের পুষ্টিগুণ - লাউ শাকে কী ভিটামিন থাকে চলুন দেখে আসি
লাউ শাকের উপকারিতা সম্পর্কে জানার পূর্বে আমাদের জানতে হবে লাউ শাকের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। যারা গ্রামে রয়েছেন তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লাউ শাক খেয়ে থাকে কিন্তু জানেন না লাউ শাক এ কত পুষ্টি উপাদান রয়েছে এবং কত উপকারীতা রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে আসি লাউ শাকের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে।
প্রতি ১০০ গ্রাম লাউ শাকে রয়েছেঃ
পুষ্টি উপাদান | পরিমাণ |
---|---|
ক্যালোরি | ২৫ কিলো ক্যালরি |
চর্বি | ০.১ গ্রাম |
ডায়েটারি ফাইবার | ২.৩ গ্রাম |
প্রোটিন | ১.৫ গ্রাম |
চিনি | ০.৭ গ্রাম |
কার্বোহাইড্রেট | ৪.৫ গ্রাম |
সোডিয়াম | ৮ মিলিগ্রাম |
পটাশিয়াম | ৩১২ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন এ | ৪৪৬০ আই ইউ |
ভিটামিন সি | ৩২ মিলিগ্রাম |
আয়রন | ১.১ মিলিগ্রাম |
ক্যালসিয়াম | ১৫৫ মিলিগ্রাম |
লাউ শাকের উপকারিতা সম্পর্কে চলুন জানি
লাউ শাকের উপকারিতা সম্পর্কে জানা প্রত্যেকের জরুরী। কেননা আমরা অনেক শাক খেয়ে থাকি কিন্তু লাউ শাক অনেকে খেয়ে থাকে আবার অনেকে খায় না। যারা খায় না তারা তো জানিনা ওর সাথে কত উপকারিতা রয়েছে আর যারা খায় তারাও জানে না লাউ শাকে কত উপকারিতা রয়েছে। আমি এখানে ১৩টি উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো যা অনেকেই জানে না আবার অনেকেই জানে। তাহলে চলুন জেনে আসি সেই উপকারিতা গুলো।
এক নজরে লাউ শাকের ১৩ টি উপকারিতাঃ
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
- শরীর ঠান্ডা রাখতে
- ওজন কমাতে
- রক্ত উৎপাদনে
- ঠান্ডা জনিত সমস্যায়
- দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে
- হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে
- ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগে
- যকৃতের সুস্থতায়
- ভ্রুনের দেহ গঠনে
- হার্টের সুস্বাস্থ্যে
- পেটের সমস্যায়
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটা হল রক্তের সুগারের মাত্রা কম থাকা। আপনার যদি রক্তের শর্করার মাত্রা কম থাকে, নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়। এই লাউ শাকে এমন কিছু এন্টি ডায়াবেটিক উপাদান রয়েছে যা আপনার রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
আরো পড়ুনঃ চিচিঙ্গা খাওয়ার ১৮টি কার্যকরী উপকারিতা - চিচিঙ্গার অপকারিতা
শরীর ঠান্ডা রাখতেঃ গরমকালে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য লাউ শাক খেতে পারেন। লাউ শাক আপনার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে। একই সাথে এই শাক মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে। এমনকি যে সকল মানুষের অনিদ্রা জনিত রোগ রয়েছে তারা লাউ শাক খেলে ঘুমের সমস্যা দূর হবে আশা করা যায়।
ওজন কমাতেঃ লাউ শাক কম ক্যালরিযুক্ত খাদ্য যার জন্য আপনি এটি খেলে ওজন বাড়ার সম্ভবনা কম থাকে। যার সাহায্যে আপনি বিভিন্ন ওজন বৃদ্ধি কারক খাবারের পরিবর্তে লাউ শাক খেতে পারেন যার দরুন ওজন নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা হবে।
রক্ত উৎপাদনেঃ আপনার শরীরের রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধিতে লাউশাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেসব রোগে রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ কমে যায় তখন ডাক্তাররা লাউ শাক খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে আকষ্মিক রক্তশূন্যতায় মৃত্যু কম হয়। কেননা লাউ শাকে রয়েছে আয়রন নামক উপাদান যা রক্তে হিমোগ্লোবিন ও লৌহিত কণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
ঠান্ডা জনিত সমস্যায়ঃ বিভিন্ন ঠান্ডা সর্দি জনিত রোগ থেকে দূরে রাখে এই লাউশাক। কেননা লাউ শাকে ভিটামিন সি অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে যদি আপনার কাশির সাথে রক্তপাত হয়ে থাকে তাহলে লাউ শাকের পাতা রস ২ টেবিল চামচ করে যদি ৪ ঘন্টা পর পর খেতে পারেন ৩-৪ দিন পর্যন্ত তাহলে ভালো ফল পাবেন।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতেঃ চোখের দৃষ্টিশক্তির বৃদ্ধিতে লাউশাক কার্যকরী। কেননা লাউ শাকে বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জীয়াজেন্থিন উপাদান রয়েছে চোখের নানান ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রাখে এই সকল উপাদান। আপনি যদি অপুষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে লাউ শাকের কান্ড এবং পাতার রস ২বার করে ২ টেবিল চামচ করে খেতে পারেন।
হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতেঃ হাড়ের শক্তির বৃদ্ধির জন্য এমনকি বাড়ন্ত শিশুদের হাড় সুগঠিত করার জন্য লাল শাক খাওয়া জরুরী। কেননা লাউশাকে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে। সেই সাথে সাথে অস্থিওপেরোসিস ও ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখে লাউ শাক।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ প্রত্যেক মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাহিরের যেকোন ভাইরাস এবং রোগ থেকে মুক্ত রাখে এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আপনার যদি এরূপ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন রোগ থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন। লাউ শাক আন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি খাবার যার ফলে আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগেঃ বিভিন্ন ধরনের ক্যালসিয়ামের অভাব জনিত রোগের উপশমেয়ে লাউশাক খুবই কার্যকরী। তাই আপনার যদি ক্যালসিয়ামের অভাব জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে লাউ শাক খেয়ে দেখতে পারেন।
যকৃতের সুস্থতায়ঃ যকৃতের বিভিন্ন রোগ এবং দুর্বল যকৃত সবল করতে লাউশাক খুবই কার্যকরী। আপনি যদি লাউ শাকের কচি পাতা এবং ডাল বেটে রস বানান এবং এই রসকে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত দিনে ২বার করে ২ টেবিল চামচ পরিমাণ ঠান্ডা জলের সাথে খান তাহলে আপনার দুর্বল প্রকৃত সবল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভ্রুনের দেহ গঠনেঃ মায়ের পেটের ভ্রুনের মস্তিষ্ক গঠনে এমনকি স্পাইনাল কার্ড গঠনে এটি খুবই কার্যকরী। ফলিক এসিডের অভাবে আপনার গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক বিকৃতি প্যারালাইসিস এমন কি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই গর্ভবতী মায়েদের জন্য ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার খুবই জরুরী। আর এই লাউশাকে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড রয়েছে তাই আপনাকে নিয়মিত লাউ শাক খাওয়া জরুরী।
আরো পড়ুনঃ উলট কম্বল গাছের ৬টি অজানা উপকারিতা - ওলট কম্বল খাওয়ার নিয়ম
হার্টের সুস্বাস্থ্যেঃ যাদের রক্তচাপ এর কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে তারা লাউ শাক খেতে পারেন। কেননা লাউ শাকের ভিটামিন সি নামক উপাদান উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। যার ফলে কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এমনকি পরিপাকযন্ত্রে রক্ত চলাচল সুষ্ঠুভাবে হয়। যেহেতু লাউ শাকে কোলেষ্টোরেল কম থাকে বিধায় হার্টের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা যায়। এমনকি প্রতিদিন সকালে লাউ শাকের রস খাওয়া যেতে পারে।
পেটের সমস্যায়ঃ আপনার যদি বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যা হয়ে থাকে বিশেষ করে কষ্ট কাঠিন্য জাতীয় রোগ তাহলে লাউ শাক খেলে এগুলো খুব সহজেই ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আমরা এপর্যন্ত লাউশাকের উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। এখন আমাদেরকে লাউ শাকের অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে। নিচে আমরা লাউ শাকের অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি তাই ধৈর্য সহকারে পড়তে থাকুন।
গর্ভাবস্থায় লাউ শাক খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় লাউ শাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন। অনেকে চিন্তা করেন গর্ভাবস্থায় লাউ শাক খেলে কি কি উপকার রয়েছে নাকি কোন ক্ষতি আছে। আমি আজকে এখানে জানাবো গর্ভাবস্থায় লাউ শাক খেলে কি উপকার রয়েছে। আমরা এ পর্যন্ত লাউশাকের পুষ্টিগণ সম্পর্কে জানলাম এবং অনেক উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম।
আপনি মহিলা হন অথবা পুরুষ লাউ শাক খেলে অনেক উপকার পাবেন। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের জন্য লাউশাক খুবই ভালো। কেননা লাউশাকে ফলিক এসিড রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে। আর এই ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার প্রচুর উপকারী মায়ের গর্ভে থাকা শিশুর জন্য। কেননা শিশুর স্পাইনাল কর্ড এবং মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য এই ফলিক এসিড খুবই কার্যকরী।
যদি ফলিক এসিড এর অভাব হয় গর্ভবতী মায়ের খাদ্যে তাহলে মায়ের পেটে থাকা শিশুর স্পাইনাল কর্ডের বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে এমনকি এর ফলে প্যারালাইসিস পর্যন্ত হতে পারে। এমনকি মস্তিষ্ক বিকৃতির রোগ দেখা দিতে পারে। অথবা মায়ের পেটের মধ্যেই শিশু মৃত হয়ে যেতে পারে। সেহেতু খুবই খেয়াল রাখতে হবে গর্ভবতী মায়েদের খাবারে যেন ফলিক এসিড জাতীয় খাদ্য থাকে। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
লাউ শাকের অপকারিতা
লাউ শাকের অপকারিতা সম্পর্কে জানা অবশ্যই সবার জরুরী। কেননা লাউ শাকের উপকারিতা জানলাম অপকারিতাও তো জেনে রাখা জরুরী সতর্কতার জন্য। লাউ শাকের উপকারিতা প্রচুর রয়েছে তার তুলনায় অপকারিতা কিছু নেই বললেই চলে। সবার ক্ষেত্রে অপকারিতা গুলো দেখা যায় না। তবে উপকারিতা সবার ক্ষেত্রেই সমান। লাউ শাকের অপকারিতা সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- যাদের এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে তারা যদি লাউ শাক বেশি পরিমাণে খান তাহলে তাদের এলার্জির রিএকশন হতে পারে। যার ফলে ত্বকে চুলকানি, শ্বাসযন্ত্রে পরিবর্তন, চোখে পানিপাত ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
- লাউশাকে এনজাইম থাকার কারণে যদি বেশি পরিমাণে লাউ শাক খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার পেটের গ্যাসের সম্ভাবনা থাকতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে লাউ শাক খাবেন।
- লাউ সাথে অনেক বেশি পরিমাণে অক্সাইড থাকার কারণে যদি আপনি বেশি পরিমাণ লাউ শাক খান তাহলে ক্যালসিয়াম সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমনঃ কিডনিতে পাথর হতে পারে ইত্যাদি।
শেষ কথাঃ লাউ শাকের উপকারিতা - গর্ভাবস্থায় লাউ শাক খাওয়ার উপকারিতা
প্রাণপ্রিয় পাঠক মন্ডলী!! আশা করছি আপনি যে বিষয় সম্পর্কে জানতে এসেছিলেন তা জানতে পেরেছেন এবং সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমরা এই পোস্টে লাউ শাকের উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় লাউ শাক খাওয়ার উপকারিতা, লাউ শাকের অপকারিতা, লাউ শাকের পুষ্টিগুণ ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
এই পোস্টটি পড়ার পর যদি আপনার কোন মন্তব্য বা প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে নিচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে আমাদেরকে জানাতে পারেন। আমরা আপনার মূল্যবান কমেন্টের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। আমরা পুরো পোস্ট জুড়ে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। যদি এই এই পোস্টটিতে কোন ভুল ধরা পড়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে জানাবেন।
আমরা তা পরবর্তীতে সংশোধন করার চেষ্টা করবো। এই পোস্টটি পড়ার পর যদি উপকৃত হয়েছেন বলে মনে করে থাকেন এবং অন্যদেরকে উপকৃত করতে চান তাহলে আপনি আপনার বিভিন্ন বন্ধু-বান্ধবের নিকট এটি শেয়ার করতে পারেন। যাতে তারা লাউ শাকের উপকারিতা জেনে এবং খেয়ে উপকৃত হতে পারে। এটাই আমাদের কাম্য।
নবান্ন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url