দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি- দুবাই কোন কাজের বেতন কত
দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি ও দুবাই কোন কাজের বেতন কত এ সম্পর্কে জানতে আপনি খুবই আগ্রহী। আজকের এই পোস্টটি খুবই মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ুন তাহলে আপনি আপনার সকল জিজ্ঞাসার উত্তর পেয়ে যাবেন। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই বিদেশে গিয়ে কাজ করা মানেই দুবাই কাজ করা বুঝে।
তাই আজকে আমরা এই আর্টিকেলে দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি, কত বেতন দুবাই কোন কাজের এবং দুবাই সম্পর্কিত আরো অনেক তথ্য সম্পর্কে জানবো। তাই চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক আজকের আলোচনা।
পেইজ সূচিপত্রঃ দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি । দুবাই কোন কাজের বেতন কত
দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি
দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী বিশেষ করে তাদের জন্য যারা প্রবাসী গিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। কেননা আপনি যে দেশেই কাজ করতে যান না কেন সেই দেশ সম্পর্কে সে দেশের কাজের চাহিদা সম্পর্কে জেনে থাকা খুবই জরুরী। কেননা আপনি যদি কোন কাজের চাহিদা সম্পর্কে জানতে পারে তাহলে আপনি সেই চাহিদা অনুযায়ী সেই নির্দিষ্ট কাজ সম্পর্কিত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চেষ্টা করবেন।
এবং এর ফলে আপনি অন্যান্য শ্রমিকের তুলনায় ভালো পজিশনে চাকরি পাবেন এবং বেশি বেতনে কাজ পাবেন । আজকে আমরা কোন কাজের চাহিদা বেশি দুবাই দেশে এ সম্পর্কে জানতে চলেছি। এখন আমরা সেই কাজ সম্পর্কে জানব যে সকল কাজ দুবাইতে অনেক বেশি প্রবাসীদের জন্য চাহিদা সম্পন্ন যে সকল কাজ করার ফলে প্রবাসীরা খুবই তাড়াতাড়ি ধনী হওয়ার আশা করেন।
নিচে দুবাই দেশে কোন কাজের চাহিদা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য কাজের চেয়ে বেশি সেই কাজের তালিকা দেওয়া হলোঃ
- ড্রাইভিং
- রেস্টুরেন্ট ও হোটেল সেক্টরের কাজ
- রোড ক্লিনার এর কাজ
- মেডিকেল ক্লিনারের কাজ
- গ্লাস ক্লিনার এর কাজ
- টাইলস মিস্ত্রি
- পাইপ মিস্ত্রি
- ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি
- ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে
- কনস্ট্রাকশন ও ইলেকট্রনিক্স সেক্টরে
- গার্মেন্টস কর্মী হয়ে
- ফ্যাক্টরির কাজ
- কৃষিকাজ ও গবাদি পশু পালনের কাজ
তাহলে আপনারা উপরের তালিকা থেকে খুব সহজেই বুঝতে পারছেন কোন কোন কাজের চাহিদা বর্তমানে দুবাই দেশে সবচেয়ে বেশি রয়েছে। আপনি চাইলে উপরের যে কোন বিষয়ের উপর দক্ষতা নিয়ে দুবাই দেশে গিয়ে সেই কাজ করতে পারেন। যেহেতু আপনি দক্ষতা নিয়ে যাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে আপনার মান অন্যান্য শ্রমিকের তুলনায় বেশি হবে এবং বেতনও বেশি হবে।
আরো পড়ুনঃ রোমানিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত । রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
তাই আপনার উচিত হবে যে দেশেই যান না কেন সেই দেশের কাজের চাহিদা অনুযায়ী সেই কাজ সম্পর্কিত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে সে দেশে কাজ করতে যাওয়া। তাহলে খুব তাড়াতাড়ি বেশি পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
দুবাই কোন কাজের বেতন কত
দুবাই কোন কাজের বেতন কত সে সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য খুবই জরুরী কেন না যেই কাজই করতে যান না কেন সে কাজের বেতন সম্পর্কে ধারণা রাখা খুবই জরুরী। আমরা উপরে জানলাম কোন কাজের চাহিদা বেশি দুবাই দেশে সে সম্পর্কে যেহেতু আমরা কাজ সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি এখন আমাদের জানতে হবে কোন কাজের বেতন কত দুবাই দেশে।
বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন রকম বেতন নির্ধারণ করা হয় আবার কোম্পানিভেদেও বেতনের তারতম্য ঘটে থাকে। যেকোনো দেশের বিভিন্ন কাজের উপর বিভিন্ন বেতন নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর। এমন কিছু বিষয় রয়েছে যার প্রভাবের ফলে আপনার বেতন কমবেশি হয়ে থাকে।
নিচে কিছু বিষয় সম্পর্কে বলা হলো যার উপর ভিত্তি করে বেতন কমবেশ হয়ঃ
কাজের ধরনের উপরঃ বিভিন্ন কাজের বিভিন্ন বেতন। প্রত্যেক কাজের একই বেতন হয় না স্বাভাবিকভাবেই কাজের ধরন পাল্টানোর সাথে সাথেই আপনার বেতনের মান পাল্টাবে। যে সকল কাজের শারীরিক শ্রম বেশি এবং মেধাশ্রম বেশি সে সকল কাজের বেতন স্বাভাবিকভাবে বেশি হবে। যে সকল কাজের করতে আপনার কম পরিশ্রম দিতে হয়, বেশি খাটতে হয় না সে সকল কাজের বেতন তুলনামূলকভাবে কম হয়।
দক্ষতা এর উপরঃ দেশে হোক বা বিদেশে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানই চাই যে কোন দক্ষ কর্মী তার কর্মচারী হোক। সেহেতু আপনার যদি কোন বিষয়ে উপর বিশেষ দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে আপনার কাজের মান মানুষের কাছে বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। দক্ষতা থাকার ফলে আপনি যেকোন কাজের উপর পর্যায়ে দ্রুত যেতে সক্ষম হবেন। সেহেতু দক্ষ কর্মী বেতন সর্বদাই বেশি হয় অন্যান্য শ্রমিকের তুলনায়।
অভিজ্ঞতা এর উপরঃ অভিজ্ঞতার কদর সকলেই করে। অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি কেই বা চায় না। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে অভিজ্ঞ ব্যক্তির চাহিদা সবসময় বেশি থাকে। আপনার যদি কোন কাজের অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে আপনি সে ক্ষেত্রে অন্যান্য অনভিজ্ঞ কর্মীদের তুলনায় বেশি বেতন পাওয়ার আশা করবেন এটাই স্বাভাবিক আর বেশি বেতন পাবেনও।
কোম্পানির ধরন এর উপরঃ বিভিন্ন কোম্পানির কাজের মাসিক বেতন এর মান বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। এক এক কোম্পানি এক এক কাজের জন্য একেক বেতন অফার করে থাকে। আপনাকে দেখতে হবে আপনি যে কোম্পানিতে কাজ করছেন সে কোম্পানি বড় নাকি ছোট সেই কোম্পানি, জনপ্রিয় নাকি অজনপ্রিয়।
সে কোম্পানি যদি বড় হয় তাহলে আপনি অনেক সুবিধা পাবেন সাথে সাথে বেতন বেশিও পাবেন আর যদি কোম্পানি ছোট হয় তাহলে বেতন কম পাবেন এটা স্বাভাবিক। এই নিয়ম সব দেশে প্রযোজ্য এমনকি বাংলাদেশেও।
কর্মক্ষেত্রঃ অনেক সময় কর্মক্ষেত্রের উপর ভিত্তি করে কাজের বেতন কমবেশ হয়ে থাকে। যে সকল প্রতিষ্ঠান রাজধানীতে কাজ করিয়ে নিয়ে থাকে সে সকল প্রতিষ্ঠান আপনাকে বেশি বেতন দিবে কেননা সেখানে জীবনযাত্রার মান বেশি, আপনার খরচ হবে বেশি তাই বেতনও দিবে বেশি।
আর যে সকল প্রতিষ্ঠান আপনাকে রাজধানীর বাইরে গ্রাম অঞ্চলে কাজ করিয়ে নিবে সেখানে যেহেতু জীবনযাত্রা মান কম, আপনার খরচ কম সেহেতু আপনাকে কম বেতন দেয়া হবে। অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আপনাকে বেশি বেতন অফার করে থাকে।
জাতীয়তাঃ নিজের দেশের শ্রমিকের প্রতি টান সকলেরই থাকে যদিও উন্নয়নশীল দেশ অনেক দেশ থেকে কর্মী ভাড়া করে নিয়ে আসে। স্বাভাবিকভাবেই প্রবাসী কর্মীর চেয়ে নিজের দেশের কর্মীর বেতন বেশি হয়।
আমরা এখানে একটি আনুমানিক মাসিক বেতনের তালিকা তুলে ধরছিঃ
কাজের ধরণ | মাসিক বেতন |
---|---|
ওয়েদার | ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার |
প্লাম্বার | ৬০ হাজার থেকে ৯০ হাজার |
ডেলিভারি ম্যান | ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার |
ড্রাইভার | ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার |
নির্মাণ শ্রমিক | ৪০ হাজার থেকে ৭০ হাজার |
ফ্যাক্টরি শ্রমিক | ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার |
ক্লিনার (রোড,মেডিকেল,গ্লাস) | ৩৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার |
মেকানিক্যাল | ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ |
ইলেকট্রিশিয়ান | ৬০ হাজার থেকে ৮৫ হাজার |
গার্মেন্টস | ৩৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার |
হেল্পার | ৪০ হাজার থেকে ৭০ হাজার |
উপরের টেবিলে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন দুবাইয়ের বিভিন্ন কাজের জন্য আনুমানিক মাসিক বেতনের তালিকা দেওয়া রয়েছে। এখন এই তালিকার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে একটা আইডিয়া করতে পারেন যে আপনি কোন কাজের প্রতি বেশী আগ্রহী এবং কত মাসিক বেতনের কাজ করতে আপনি ইচ্ছুক।
এখন আপনি সেই অনুযায়ী সেই কাজের জন্য দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করুন এবং দুবাই দেশে গিয়ে কাজ করুন। তাহলে আপনি শুরু থেকেই বেশি বেতনে চাকরি পাবেন। তবে একটি জিনিস মনে রাখা খুবই জরুরী, এই টেবিলে দেওয়া মাসিক বেতনটি আনুমানিক হিসাব। এই বেতন টি বিভিন্ন কোম্পানির উপর, বিভিন্ন পরিবেশের উপর, বিভিন্ন জায়গার ওপর কমবেশি হতে পারে।
দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত
দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত টাকা এ বিষয়ে আমাদের জেনে থাকা খুবই জরুরী। কেননা যে দেশেই আপনি যান না কেন সে দেশের কোন কাজ যদি আপনি করতে চান তাহলে সেই কাজের মাসিক বেতন সম্পর্কে ধারণা রাখা খুবই জরুরী। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ দুবাই হোটেল ভিসা যেতে চাই।
কেননা দুবাই হোটেল ভিসায় যদি আপনি যেতে পারেন তাহলে সেখানে হোটেলের কাজ খুবই হালকা হয় এবং উপার্জন অন্যান্য কাজের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি আপনি দুবাই এর হোটেল ভিসাতে যদি যান তাহলে অনেক সুযোগ সুবিধা পাবেন সেই কাজের ক্ষেত্রে। দুবাই পর্যটকদের জন্য খুবই লোভনীয় একটি জায়গা দুবাই শহর।
এইখানে বিভিন্ন দেশের মানুষ এবং বিভিন্ন ভাষার মানুষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং দর্শনীয় স্থান দেখতে যায়। যখন পর্যটকেরা দুবাই দেশে যায় তখন সেই সকল দেশের হোটেলে কাস্টমারদের চাপ অনেক বেড়ে যায়। তখন হোটেল মালিকেরা বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে।
যেহেতু দুবাই দেশে বিভিন্ন ভাষার মানুষ এসে থাকে সে তো আপনাকে সেখানে কাজ করার জন্য ইংরেজি ভাষা শিখে রাখা খুবই জরুরী। আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা রাখতে পারেন তাহলে দুবাই বিভিন্ন হোটেলে আপনি খুব সহজে কাজ পাবেন এবং আপনার মান অন্যান্য শ্রমিকের চেয়ে বেশি থাকবে।
আর আপনি যদি সরকারিভাবে হোটেল ভিসায় দুবাই যান তাহলে খুব কম খরচে আপনি যেতে পারবেন। বর্তমান সময়ে সাধারণ মানের হোটেলের কর্মচারীর বেতন মাসে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা। এছাড়াও যারা দুবাইয়ের ফাইভ স্টার হোটেলের শ্রমিক হন তারা মাসে ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকার উপরে বেতন পেয়ে থাকেন। তাহলে বুঝা যাচ্ছে আপনার বেতনের মানের কমবেশ হোটেল মানের ওপর নির্ভর করছে।
দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত
দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত এ সম্পর্কে জানা একজন প্রবাসীর জন্য খুবই জরুরী। কেননা সে কাজের উদ্দেশ্যে দুবাই যেতে চায় আপনি যে কোন দেশেই যান না কেন একজন প্রবাসী হিসেবে আপনার জানা উচিত যে দেশে আপনি যাচ্ছেন সে দেশের সর্বনিম্ন বেতন কত টাকা দেওয়া হয়। আরব আমিরাতে প্রভাবশালী শহরগুলোর অন্যতম দুবাই একটি শহর।
আরো পড়ুনঃ দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps । দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম
দুবাই শহরে অনেক পর্যটক বিভিন্ন দেশ থেকে আসে। এর প্রেক্ষিতে অনেক শ্রমিক নিয়োগ হয়। এমন কি আজকাল দুবায়ে প্রচুর পরিমাণে দালান-ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে তাই নির্মাণ শ্রমিক অনেক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের যাকেই জিজ্ঞেস করেন না কেন মানুষ সবাই দুবাই যেতে চায়। এক্ষেত্রে আপনার প্রথমে জেনে রাখা উচিত হবে দুবাইয়ের সর্বনিম্ন বেতন কত টাকা।
সর্বনিম্ন বেতন নির্ভর করে অনেক কিছুর যেমনঃ কোন প্রবাসীর কাজের দক্ষতার উপর, অভিজ্ঞতার উপর, তার ইংরেজি ভাষা বা আরবী ভাষাতে জ্ঞানের উপর, এমন কি ভিসার বিভিন্ন ধরনের উপরও নির্ভর করে থাকে। যদি আপনি দুবাইয়ে সরকারি বৈধভাবে এবং তাদের দক্ষতা নিয়ে যান তাহলে আপনার সর্বনিম্ন বেতন শুরু হবে ৩৫ হাজার টাকা থেকে।
সাধারণত আপনি যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসাতে প্রবাসে যাবেন সেই পারমিট এই লেখা থাকে আপনি কত টাকা বেতনে কাজে যাচ্ছেন। তাছাড়া আপনি যদি কাজের দক্ষতা নিয়ে যান এবং অভিজ্ঞতার সাথে নিয়ে যান তাহলে আপনার সর্বনিম্ন বেতন বৃদ্ধি হতে পারে। এবং প্রত্যেক দেশের মতন প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে কাজের জন্য ওভারটাইম পদ্ধতি থাকে।
আপনি চাইলেই সে ওভারটাইম কাজে লাগিয়ে বেশি টাকা উপার্জন করতে পারেন। আপনি যদি দুবাইতে আসলেই কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত হবে যে আপনি নির্দিষ্ট কোন কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করুন এবং সাথে সাথে সে কাজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে কিছুদিনের অভিজ্ঞতা নিন। তারপর সরকারি বৈধভাবে দুবাই দেশে যান তাহলে আশা করা যায় আপনি বেশি বেতনে কাজ পাবেন।
ক্লিনার চাকরি দুবাই
ক্লিনার চাকরি দুবাই এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। অনেকেই জানতে চায় দুবাই শহরে ক্লিনার চাকরি ভিসা কিভাবে পাব, কি কি কাজ করা যাবে, কোথায় কোথায় কাজ করা যাবে ইত্যাদি সম্পর্কে। আমরা আজকে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
আরব আমিরাতের সবচেয়ে প্রভাবশালী শহর গুলোর ভিতরে দুবাই একটি অন্যতম প্রভাবশালী শহর। বিভিন্ন দেশ থেকে দুবাই দেশে মানুষ কাজের জন্য আসে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন মানুষকে কাজের নিয়োগ দেয়। সরকারিভাবে নিয়োগের ক্ষেত্রে আপনি খুব কম খরচেই দুবাই যেতে পারেন।
আর যদি আপনি বেসরকারিভাবে ক্লিনার কাজের জন্য দুবাই ভিসা পেতে চান তাহলে আপনাকে বেশি টাকা খরচ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে বাংলাদেশ এজেন্সিদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আনুমানিক খরচের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে যদি আপনি ক্লিনার ভিসা পেতে চান তাহলে আপনাকে ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে।
আর যদি আপনি বেসরকারিভাবে দুবায়ে ক্লিনিং কাজে যেতে চান তাহলে ৬ লক্ষের উপরে খরচ হবে। এক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে যতটা পারা সরকারিভাবে দক্ষতা সহকারে যাওয়া। বাংলাদেশ সহকারে বিভিন্ন দেশের মানুষ দুবাই ক্লিনিং কাজে যেতে চায়। এর কারণ সবচেয়ে সহজ কাজ হিসেবে ক্লিনিং কাজকে দেখা হয়।
দুবাইয়ে অনেক ধরনের ক্লিনারের কাজ রয়েছে যেমনঃ আপনি বিভিন্ন হোটেলে, রেস্টুরেন্টে, কোম্পানির ক্লিনার হিসেবে, গাড়ির গ্যারেজের ক্লিনার, এমনকি সকল ধরনের ক্লিনিং সার্ভিস সেন্টারেও চাকরি করতে পারেন। বা আপনি চাইলেও স্বাধীনভাবে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ক্লিনারের কাজ করতে পারেন।
এই কাজের জন্য আপনার তেমন কোন যোগ্যতার প্রয়োজন নেই তবে ক্লিনিং কাজের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির প্রাথমিক ব্যবহার জেনে নেওয়া ভালো হবে। আপনি চাইলেই ক্লিনার কাজের জন্য কোম্পানি ভিসাতেও দুবাই যেতে পারেন।
এই পর্যায়ে আপনার যদি মনে হয় যে আপনি দুবাই ক্লিনার কাজের জন্য ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনার জন্য ভালো হবে যে আপনি সরকারিভাবে দুবাই যাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং দক্ষতা নিয়ে যাবেন এবং যদি পারেন ইংরেজি বা আরবী ভাষা শিখে যেতে পারেন। তাহলে এটি আপনার ক্ষেত্রে খুবই উপকারী সাব্যস্ত হবে।
শেষ কথা= দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি । দুবাই কোন কাজের বেতন কত
প্রাণ প্রিয় পাঠক মন্ডলী!! এই পুরো আর্টিকেলটি খুবই ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি যা জানতে এসেছিলেন তা কি জানতে পেরেছেন? আশা করা যায় আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত জিজ্ঞাসা উত্তর পেয়েছেন। আমরা পুরো আর্টিকেল জুড়ে দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন কত দুবাই দেশে।
এবং দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত, দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত, ক্লিনার চাকরি দুবাই ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি। এ সকল বিষয়গুলো পড়ার পর আপনার যদি কোন মতামত বা প্রশ্ন থেকে থাকে নির্দ্বিধায় আমাদেরকে কমেন্টে জানাতে পারেন আমরা আপনার কমেন্টের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
আমরা সম্পূর্ণ আর্টিকেলে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যদি আপনার কাছে কোন ভুল ধরা পড়ে থাকে বা সংশোধন করাতে চান তাহলে নির্দ্বিধায় জানাবেন আমরা সংশোধন করার চেষ্টা করব। এই আর্টিকেলটি পড়ার পর যদি মনে করেন আপনি উপকৃত হয়েছেন এবং অন্যদেরকে উপকৃত করতে চান তাহলে বিভিন্ন বন্ধু-বান্ধবের নিকট আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
এবং তাদের নিকট শেয়ার করুন যারা কাজের উদ্দেশ্যে দুবাই দেশে যেতে চায়। তারা যেন এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে সঠিক ধারণা পেতে পারে। এটাই আমাদের কাম্য।
নবান্ন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url