ব্রুনাই ভিসার দাম কত টাকা চলছে জানেন কি [বিস্তারিত দেখুন]- ব্রুনাই বেতন কত
ব্রুনাই ভিসার দাম কত এবং বেতন কত ব্রুনাই এ বিষয়ে আপনি খোঁজাখুঁজি করছেন ও জানতে চাচ্ছেন। এর মানে আপনি ব্রুনাই দেশে কাজ করতে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন। সেজন্য আগে সবকিছু জানার চেষ্টা করছেন।
হ্যাঁ, আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন আমরা আজকে এই আর্টিকেল আলোচনা করব ব্রুনাই ভিসার দাম কত, ব্রুনাই কত বেতন এবং আরো অনেক বিষয় নিয়ে। তাই আপনি যদি জানতে চান ব্রুনাই সম্পর্কিত তথ্যগুলো। তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাই আসুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক আজকে আলোচনা।
পেইজ সূচিপত্রঃ ব্রুনাই ভিসার দাম কত- ব্রুনাই বেতন কত
ব্রুনাই ভিসার দাম কত
ব্রুনাই ভিসার দাম কত বা ব্রুনায় যেতে কত টাকা লাগে এই বিষয় দুটি একই। তাই আপনি যে কোন একটি জানলে অপরটি জানতে পারবেন। ব্রুনাই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বোর্নীয় নামক দ্বীপের উত্তর উপকূলে অবস্থিত একটি দেশ। এটি একটি ইসলামী রাষ্ট্র এবং এ দেশের অর্থনীতির তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সম্পদের উপর নির্ভরশীল।
তবে এদেশের মাথাপিছু আয় অনেক বেশি সেই কারণে আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে ব্রুনাই গিয়ে থাকেন তাহলে আপনি সেখানে উন্নত জীবনযাত্রার মান ও সামাজিক নিরাপত্তা পাবেন।আপনি যদি জানতে চান ব্রুনাই দেশে যেতে ভিসার দাম কত হবে তাহলে আপনাকে ভালোভাবে বুঝতে হবে বিষয়টা।
ব্রুনাই যেতে আপনার কত টাকা লাগবে সেটা নির্ভর করে আপনার ভিসার ক্যাটাগরির উপর এবং ভিসার মেয়াদের উপর। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্রুনাই দেশে গিয়ে থাকে সেই উদ্দেশ্যের পার্থক্য অনুযায়ী ভিসার প্রকারভেদ হয়ে থাকে। এখন আপনি যদি মনে করেন যে আপনি পড়ালেখার উদ্দেশ্যে ব্রুনাই যাবেন তাহলে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসা করতে হবে।
আর আপনি যদি মনে করেন যে আপনি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ব্রুনাই যাবেন তাহলে আপনাকে মেডিকেল ভিসা করতে হবে, আর আপনি যদি মনে করেন যে আপনি কাজের উদ্দেশ্যে ব্রুনাই যাবেন তাহলে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে আর যদি আপনি মনে করেন আপনি শুধু ঘুরতে যাবেন তাহলে আপনাকে টুরিস্ট ভিসা করতে হবে।
এছাড়াও বিভিন্ন মানুষ আরো অনেক উদ্দেশ্যে ব্রুনাই যেয়ে থাকে।নিচে আমরা একটি টেবিলে দেখাবো বিভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরির অনুযায়ী দাম কত। ব্রুনাই ভিসার তাহলে আপনি ধারণা করতে পারেন আপনার কোন ভিসার ক্ষেত্রে ব্রুনাই যেতে কত টাকা লাগবে।
ব্রুনাই ভিসার দাম
আপনি যদি একক প্রবেশ করতে চান তাহলে আপনার ভিসা ফি হলোঃ ১৪০০ টাকা
আর আপনি যদি একাধিক ব্যক্তি সহকারে প্রবেশ করতে চান তাহলে আপনার ভিসা ফি হলোঃ ২০০০ টাকা
নিচে আনুমানিক ভিসার খরচের মূল্য তালিকা দেয়া হলোঃ
ভিসা ক্যাটাগরি | আনুমানিক ভিসার খরচ |
---|---|
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা | ২ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ |
মেডিকেল ভিসা | ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার |
ব্যবসায়িক ভিসা | ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ |
টুরিস্ট ভিসা | ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার |
স্টুডেন্ট ভিসা | ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার |
এই টেবিলে আমরা আনুমানিক বিভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরির জন্য বিভিন্ন ভিসার খরচ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যদি আপনি সরকারীভাবে ব্রুনাই যেতে চান তাহলে খুবই কম খরচে আপনি যেতে পারবেন। আর যদি কোন দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে যান তাহলে আপনাকে প্রচুর খরচ বহন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি । দুবাই কোন কাজের বেতন কত
আর কোন দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটার মাথায় রাখতে হবে যে পরিচিত এবং বিশ্বস্ত লোক ছাড়া কারো সাথে টাকা লেনদেন করা যাবে না। এমন অনেক এজেন্সি রয়েছে যাদেরকে টাকা দেয়ার পরে আপনাদের কে প্রচারিত করতে পারি। সেহেতু সাবধানে এ সকল ক্ষেত্রে টাকা লেনদেন করতে হবে।
আর এই টেবিলে যে খরচ দেখানো হয়েছে সেই খরচের ভিতর সকল ধরনের খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আপনাকে অতিরিক্ত আর কোনো খরচ করা লাগবে না যেমনঃ মেডিকেল খরচ, পুলিশ ভেরিফিকেশন খরচ, ভিসা আবেদন ফি, পাসপোর্ট খরচ, এজেন্সি খরচ, ভাষা শেখার খরচ, স্কিল শিখার খরচ, বিমান টিকিট খরচ ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিসের দাম এই ভিসার খরচের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা আছে। তাই আপনাকে অতিরিক্ত আর কোন খরচ করা লাগবে না।
ব্রুনাই বেতন কত
ব্রুনাই দেশে কাজের বেতন কত এ বিষয়ে ধারণা রাখা আমাদের সকলের জন্যই জরুরি। যারা ব্রুনাই দেশে কাজ করতে চান বা আপনি যে দেশেই কাজ করতে যান না কেন সেই সকল দেশের কোন কাজের কত বেতন সে সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা রাখা খুবই জরুরী। তাহলে আপনি যদি সে সম্পর্কে ধারণা রাখেন আপনি টার্গেট রাখতে পারবেন আপনি কোন ধরনের কাজের দক্ষতা অর্জন করে সেই দেশে কোন মানের বেতনে কাজ করতে চাচ্ছেন।
এইখানে আমরা আলোচনা করব বেতন কত ব্রুনাই দেশের সে সম্পর্কে তাই আপনি ধৈর্য ধরে সম্পূর্ণটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করা যায় আপনি উপকৃত হবেন। আপনি যদি অনলাইনে বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানের সার্চ করার মাধ্যমে জানতে চান ব্রুনাই দেশের কোন কাজের জন্য বেতন কত তাহলে আপনি সঠিক তথ্য পেতে পারেন আবার নাও পেতে পারেন।
কেননা এমন অনেক এনজিও রয়েছে যারা লোকদেরকে প্রতারণা চেষ্টা করে থাকে। তাই আপনাকে সেসব ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক থাকতে হবে এবং সেসব ক্ষেত্রে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে তারপরে টাকা লেনদেন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রথমেই আমাদেরকে জানতে হবে কোন দেশে বিভিন্ন কাজের বিভিন্ন বেতন নির্ভর করে অনেক বিষয়ের উপর।
নিচে কিছু বিষয় সম্পর্কে বলা হল যার উপর ভিত্তি করে বেতনের কমবেশ হয়ে থাকেঃ
কাজের ধরনঃ কাজের ধরনের উপরেও বেতনের কমবেশ হয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই আপনার কাজ যদি অন্য কোন কাজের তুলনায় বেশি শারীরিক শ্রমের হয় তাহলে আপনার কাজের বেতনের বেশি হবে। আবার এও হতে পারে যে আপনার তুলনায় অন্য কাজের বেতন বেশি কেননা সেই কাজে মেধাশ্রম বেশি লাগে। সেজন্য বিভিন্ন কাজের উপরে ডিপেন্ড করে বেতনের কমবেশ হয়ে থাকে।
অভিজ্ঞতাঃ অভিজ্ঞতা বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে। আপনি যেখানেই যান না কেন যেই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন না কেন সর্ব ক্ষেত্রেই অভিজ্ঞ কর্মীদের চাহিদা সব সময় বেশি থাকে। আর অভিজ্ঞ কর্মীরা সাধারণভাবেই বেতন বেশি পেয়ে থাকে। সেহেতু আপনার উচিত হবে আপনি যদি ব্রুনাই দেশে যে কোন কাজ করতে চান।
তাহলে সেই কাজ সম্পর্কে আগে থেকেই অভিজ্ঞতা রেখে তারপরে যাওয়া। তাহলে আপনার সেই কাজের ক্ষেত্রে বেতন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
দক্ষতাঃ দক্ষ কর্মীদের চাহিদা সবখানেই বিরাজমান। দক্ষতা অর্জন করা খুবই জরুরী যে কোন কাজের ক্ষেত্রে। তাহলে আপনাকে সম্মান সবাই করবে বিভিন্ন ধরনের কাজ যেমন টাইলস মিস্ত্রি বলেন রাজমিস্ত্রি বলেন বা ইলেকট্রিক মিস্ত্রি যাই বলেন না কেন যে কোন কাজ করার ক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা আপনাকে মানুষের চোখে মর্যাদাবান, চাহিদা সম্পন্ন, ব্যক্তিত্ব করে তোলে।
সেই জন্য বিশেষ করে দেশের বাইরে কোথাও কাজ করার ক্ষেত্রে যে কোন কাজে যোগ দেয়ার আগে সেই কাজ সম্পর্কে দক্ষতা নিয়ে যাবেন। তাহলে আপনার বেতন স্বাভাবিকভাবেই অন্যদের তুলনায় তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি হবে।
কোম্পানির ধরনঃ দেশ বলেন বা বিদেশে বিভিন্ন কোম্পানির বেতনের রেট বিভিন্ন রকম। কোম্পানি যদি বড় ধরনের হয় তাহলে আপনাকে বেশি বেতনে রাখবে এবং অনেক সুযোগ সুবিধা পাবেন আর যদি কোম্পানির ছোট কোন কোম্পানি হয় তাহলে আপনার বেতন তো কম থাকবে থাকবেই পাশাপাশি সুযোগ সুবিধা অনেক কম পাবেন। সে ক্ষেত্রে কোম্পানির উপর ডিপেন্ড করে বেতনের কমবেশ হয়।
কর্মক্ষেত্রঃ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলে আপনি স্বাভাবিকভাবে অনেক ক্ষেত্রে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের চাকরি বেতনের চেয়েও বেশি বেতন পেয়ে থাকেন। কেননা দেখা যায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানরা কাজ ভাল পাওয়ার জন্য বেশি বেতন দিয়ে লোক রাখে। আবার এটাও হতে পারে বিভিন্ন জায়গার ক্ষেত্রে বেতনের কমবেশি হয়ে থাকে।
রাজধানী কেন্দ্রিক শহরগুলোতে বেতনের মান বেশি থাকে কেননা সেখানে জীবনযাত্রা খরচ বেশি। আর যদি আপনার কাজ গ্রামের দিকে হয় তাহলে আপনার সেক্ষেত্রে বেতন কম হতে পারে। কেননা সেখানে জীবনযাত্রার মান কম।
জাতীয়তাঃ ব্রুনাই দেশে এমনও হতে পারে স্থানীয় কর্মীরা সাধারণত প্রবাসী কর্মীদের তুলনায় বেশি বেতন পেয়ে থাকে। কেননা তারা নিজের দেশের কর্মীদেরকে বেশি মূল্যায়ন করে থাকে।
নিচে দেওয়া টেবিলে আমরা আনুমানিক বিভিন্ন কাজের জন্য বাংলাদেশ টাকায় মাসিক বেতন কত হতে পারে সেটা উল্লেখ করেছিঃ
কাজের ধরণ | মাসিক বেতন |
---|---|
কনস্ট্রাকশন শ্রমিক | ৯৬ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার |
কেয়ারটেকার | ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার |
ডেলিভারি ম্যান | ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার |
ড্রাইভার | ৯৬ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার |
কৃষি শ্রমিক | ৬৪ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার |
ফ্যাক্টরি শ্রমিক | ৬৪ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার |
ক্লিনার | ৫৬ হাজার ৭০০ থেকে ৯৭ হাজার |
মেকানিক্যাল | ৮০ হাজার থেকে ২ লক্ষ |
ইলেকট্রিশিয়ান | ৯৬ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার |
পাইপ ফিটিং | ৯৬ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার |
উপরে দেওয়া টেবিলটি আপনাকে খুবই সাহায্য করবে যদি আপনি ব্রুনাই দেশে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান। তাহলে আপনি কাজের বেতনের রেঞ্জ অনুযায়ী যে কাজ করতে চাচ্ছেন সেই কাজের উপর দক্ষতা অভিজ্ঞতা আগে থেকেই অর্জন করে রাখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার কাজের বেতনের থেকেও বেশি হতে পারে। সেহেতু দেরি না করে দক্ষতা, অভিজ্ঞতা অর্জন করুন এবং প্রবাসে গিয়ে টাকা ইনকাম করুন।
ব্রুনাই সর্বনিম্ন বেতন কত
ব্রুনাই সর্বনিম্ন বেতন কত সম্পর্কে এই প্যারাতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়তে থাকুন। আমরা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশে যেয়ে থাকি। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ যদি দেশ থেকে বিদেশে যেয়ে থাকে তাহলে সেটা হলো কাজের ক্ষেত্রে। বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছে।
সেক্ষেত্রে আপনার জেনে নেওয়া উচিত হবে ব্রুনাই দেশের সর্বনিম্ন বেতন কত। এ সম্পর্কে যদি বলতে হয় তাহলে বলতে হবে এটি নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর যেমনঃ কোন প্রবাসীর কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং তার ইংরেজি ভাষার জ্ঞান, ভিসার বিভিন্ন ধরনের উপর নির্ভর করে থাকে।
যদি আপনি ব্রুনাই সরকারিভাবে এবং কাজের দক্ষতা সহ যে থাকে তাহলে আপনার সর্বনিম্ন বেতন হবে ৭০০ থেকে ৮০০ ডলার যা বাংলা টাকায় রূপান্তর করলে দাঁড়াবে ৫৫ হাজার থেকে ৬৫ হাজার টাকা। সাধারণত আপনি যে ওয়ার্ক পারমিটে প্রবাসে যাবেন সেই পারমটে লেখা থাকবে আপনি কত টাকা বেতনে কাজে যাচ্ছেন।
তাছাড়াও আপনি যদি দক্ষতার সহিত ভালো কাজ করেন তাহলে আপনার বেতনের স্কেল বাড়তে পারে। আর যে কোন দেশেই এবং যেকোন প্রতিষ্ঠানেই কাজ করার ক্ষেত্রে ওভারটাইম তো থাকেই এবং সে ওভারটাইম ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আরো বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে আমার পরামর্শ থাকবে আপনি যদি যেকোন দেশে কাজ করতে যান না কেন এবং যেকোনো বিষয়ের উপরই।
প্রথমত দেশে থাকতেই সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করুন এবং কিছুদিনের অভিজ্ঞতা অর্জন করুন এবং সম্ভব হলে সে দেশের ভাষা শিখুন। তাহলে আপনি খুব সহজেই ভালো পরিমাণের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আর দেশে যে কোন কাজ করার মাধ্যমে সেই পরিমাণ টাকা উপার্জন করা প্রায় স্বপ্নের মতো।
ব্রুনাই ভিসা প্রসেসিং
ব্রুনাই ভিসা প্রসেসিং করার নিয়ম সম্পর্কে জানা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যারা ব্রুনাই যেতে ইচ্ছুক। যেহেতু আমরা উপরে ব্রুনাই দেশের কোন কাজের জন্য কত বেতন পাওয়া যায় সে সম্পর্কে জেনেছি এবং দাম কত ব্রুনাই ভিসার তাই এখন আমাদেরকে ভিসা প্রসেসিং করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
ব্রুনাই ভিসা আবেদন যদি করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমেই প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপনার ভিসার ক্যাটাগরির অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে। আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে ব্রুনাই যেয়ে থাকেন তাহলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করার ক্ষেত্রে কোম্পানির অফার লেটার লাগবে।
যে আপনি কোন কোম্পানি থেকে কাজের অফার পাচ্ছেন। যদি আপনার কাছে অনুমতি না থাকে তাহলে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এখন আপনি ব্রুনাই যাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে আপনার নিকটস্থ ব্রুনাই দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে। দূতাবাসে গিয়ে আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
সেই সাথে অবশ্যই আপনাকে ভিসা আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে। এখন এই আবেদন ফি আপনার ভিসার ক্যাটাগরির অনুযায়ী বিভিন্ন রকম হতে পারে। এইসব কাজ করার পর আপনার ভিসা প্রসেসিং হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। আপনি যে ভিসার জন্য আবেদন করেছেন সেই আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
সেই ভিসার আবেদনটি অনুমোদন হতেও পারে আবার প্রত্যাখ্যান হতেও পারে। এ সকল ক্ষেত্রে আবেদন প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনে কাগজপত্র পরিবর্তন হতে পারে। তাই সর্বশেষ সঠিক তথ্য জানার জন্য সব সময় আপনাকে ব্রুনাই দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে। উপরে যেভাবে পদ্ধতি বলা হলো সে পদ্ধতি অনুযায়ী আপনাকে ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করতে হবে।
এছাড়াও যদি আরো বিস্তারিত এবং সঠিক তথ্য পেতে চান তাহলে যে কোন একজন ব্রুনাই প্রবাসীর সাথে যোগাযোগ করুন। তাহলে তার মাধ্যমে আপনি সঠিক অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন অথবা প্রয়োজন হলেও বিশ্বস্ত জানাশোনা এজেন্সির সাহায্য নিতে পারেন।
নিচের সে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উল্লেখ করা হলো যা ব্রুনাই ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনঃ
- প্রথমেই একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে
- একটি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি লাগবে
- আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
- আপনার দক্ষতার সার্টিফিকেট
- আপনার কাজের উপর অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট লাগবে
- জাতীয় পরিচয় পত্র বা NID লাগবে
- আর্থিক সাপোর্ট ডকুমেন্ট বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে
- এবং অন্যান্য সহায়ক কাগজপত্র প্রয়োজন
ব্রুনাই যেতে কত বছর বয়স লাগে
ব্রুনাই যেতে কত বছর বয়স লাগে সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানতে আগ্রহী। কেননা আপনি যদি সেই বয়সের বয়সী না হন বা সেই বয়স থেকে বেশি হন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে অনেক ভিসাই করা সম্ভব হবে না। আপনি যে দেশেই যান না কেন সে দেশের নাগরিকদের কাজ করার একটি ন্যূনতম বয়স সীমা থাকে।
আর আপনি যদি সেই বয়স জানেন তাহলে আপনি সে অনুযায়ী ভিসার আবেদন করতে পারবেন এবং সে ক্ষেত্রে অনুমোদন পাবেন প্রত্যাখ্যান হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। এখন আপনি যদি বাংলাদেশের ১৮ বছরের নিচে কোন ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অফিসিয়ালি কোন ধরনের কাজ করতে পারবেন না।
ঠিক সেরকম ব্রুনাই দেশেও আপনি ১৮ বছরের কম বয়সী হলে কোন কাজ করার অনুমতি পাবেন না। এবং অন্যদিকে ৪৫ বছরের বেশি বয়সী যদি হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ব্রুনাই দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অর্থাৎ কাজের জন্য ভিসার আবেদন করতে পারবেন না এবং ভিসার অনুমোদনও পাবেন না। তবে আপনি যদি ব্রুনাই দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে কাজ করতে চান তাহলে আপনার বয়স ২১ থেকে ৪৫ বছর হতে হবে এবং সেটি উত্তম বয়স হিসেবে গণ্য হয়।
শেষ কথা= ব্রুনাই ভিসার দাম কত । ব্রুনাই বেতন কত
প্রাণপ্রিয় পাঠক মন্ডলী খুবই ধৈর্য সহকারে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি ইতিমধ্যেই যা জানতে চাচ্ছিলেন তা নিশ্চয়ই জেনে গেছেন। আমরা পুরো আর্টিকেল জুরে ব্রুনাই ভিসার দাম কত, ব্রুনাই দেশের কোন কাজের জন্য কত বেতন, ব্রুনাই যেতে কত বছর বয়স লাগে, ব্রুনাই ভিসা প্রসেসিং করার নিয়ম এবং সেই সাথে আমরা আরো জেনেছি ব্রুনাই সর্বনিম্ন বেতন কত।
এ সকল বিষয়ে পড়ার পর আপনার যদি মনে হয় এই আর্টিকেল দ্বারা আপনি কৃত হয়েছেন এবং মানুষকে উপকৃত করতে চান তাহলে এই আর্টিকেলে আপনার মন্তব্য করতে পারেন এবং কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের করতে পারেন আমরা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করব। আমরা এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছি।
যদি আপনারা কোনো ভুল পান বা সংশোধন করাতে চান তাহলে নির্দ্বিধায় আমাদেরকে জানাবেন আমরা সংশোধন করার চেষ্টা করবো এবং এই আর্টিকেলটি আপনার বিভিন্ন বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করুন এবং তাদের নিকট শেয়ার করুন যারা কাজের উদ্দেশ্যে ব্রুনাইয়ের উদ্দেশ্যে যেতে চায় তারা যেন এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে সঠিক ধারণা পেতে পারে। এটাই আমাদের কাম্য।
নবান্ন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url