চিনিগুড়া গাছের ৬টি অজানা উপকারিতা - চিনিগুড়া গাছ খাওয়ার নিয়ম
চিনিগুড়া গাছের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা এবং চিনিগুড়া গাছ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও আমরা অনেকে অবহিত নই। কেননা আমরা কজনেই বা আমাদের চার পাশে থাকা গাছ গাছালের ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে জানি। প্রাকৃতিক এমন অনেক গাছ রয়েছে গাছ আমাদের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে যথেষ্ট ভূমিকা রেখে থাকে।
তাই আপনি যদি উপকারিতা চিনিগুড়া গাছের সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পুরো আর্টিকেলে আমাদের সাথেই থাকুন। আমরা এই আর্টিকেলে চিনিগুড়া গাছের উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম চিনিগুড়া গাছের ও চিনিগুড়া গাছ কোথায় পাওয়া যায় এমনকি চিনি গুড়া গাছ চেনার উপায় ও চিনি গুড়া গাছের ছবি সম্পর্কে আলোচনা করব তাই চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যায়
পেইজ সূচিপত্রঃ চিনিগুড়া গাছের উপকারিতা । চিনিগুড়া গাছ খাওয়ার নিয়ম
চিনিগুড়া গাছের উপকারিতা
চিনিগুড়া গাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানার আগে আমাদের জানতে হবে চিনিগুড়া গাছকে আর কি নামে ডাকা হয়। এটি স্টেভিয়া গাছ নামেও পরিচিত। চিনিগুড়া গাছের পাতা সাধারণত খুবই মিষ্টি এবং চিনির চেয়ে প্রায় ৩০০ গুন বেশি মিষ্টি হয় বলে দাবি করা হয়। চিনিগুড়া গাছের প্রচুর উপকারিতা রয়েছে।
এই গাছের পাতা, ছাল, মূল সবই মানুষের শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। চিনিগুড়া গাছের পাতা থেকে প্রাপ্ত নির্যাস বা গুড়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এবং এই চিনিগুড়া গাছ আবার চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবেও ভূমিকা পালন করে থাকে।
নিচে উপকারিতা চিনিগুড়া গাছের উল্লেখ করা হলোঃ
ওজন কমাতেঃ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে চিনিগুড়া গাছ বা স্টেভিয়া গাছ এর পাতা খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। চিনিগুড়া গাছের পাতা প্রাকৃতিক ভাবে মিষ্টি উপাদান যা চিনির তুলনায় অনেক বেশি মিষ্টি হয়ে থাকে। এমনকি এতে ক্যালরি থাকে না এর ফলে চিনির বিকল্প হিসেবে চিনিগুড়া গাছের পাতা ব্যবহার করলে খাদ্যের মিষ্টি ঠিকই থাকবে।
কিন্তু ক্যালরি কম খাওয়া হবে। আর যদি শরীরে আপনি ক্যালরি কম গ্রহণ করেন তাহলে আপনার ওজন বাড়ার প্রবণতা কমে যাবে। তাছাড়াও চিনিগুড়া গাছ বা স্টেভিয়া রক্তের ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি হতে বাধা দেয়। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে।
নিচে চিনিগুড়া গাছের পাতা বা গুড়া ব্যবহারের কিছু উপায় দেওয়া হলোঃ
- আপনি চাইলে কোন মিষ্টি জাতীয় খাবারে চিনির পরিবর্তে স্টেভিয়া বা চিনি গোঁড়া গাছে পাতা বা নির্যাস ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহারের ফলে আপনার মিষ্টির কোন তারতম্য ঘটবে না।
- আপনি চিনিগুড়া গাছের পাতা বা নির্যাস কে হারবাল টি হিসেবেও পান করে থাকতে পারেন।
- আপনি চাইলে চিনিগুড়া গাছ বা স্টেভিয়া গাছের পাতার নির্যাসকে চা বা কফের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
এখন আমরা জানতে পারলাম ওজন কমানোর জন্য স্টেভিয়া বা চিনিগুড়া গাছ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, চিনিগুড়া গাছের পাতা ব্যবহার পরিমিত পরিমাণে করতে হবে। কেননা এটি যদি আপনি বেশি পরিমাণে গ্রহণ করেন তাহলে আপনার এলার্জি বা অন্য কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
আপনি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে চিনিগুড়া গাছকে ব্যবহার করতে পারেন। তবে যদি মনে করেন শুধুই চিনিগুড়া গাছের পাতা বা নির্যাস এর দ্বারাই ওজন কমানো সম্ভব হবে তাহলে এটা আপনার ভুল ধারণা। এটি আপনাকে ওজন কমানোতে সাহায্য করতে পারে। সাথে সাথে আপনাকে ডায়েট এবং সুষম খাদ্যাভাস নিয়মিত ব্যায়াম চালিয়ে যেতে হবে। তবে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ওজন কমাতে সফল হবেন।
রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতেঃ চিনিগুড়া গাছের উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রক্তের শর্করার মাত্রা এটি নিয়ন্ত্রণ করে। আমরা সকলেই জানি রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে থাকে। সেহেতু আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের দিকে চোখ রাখতে হবে।
আপনি যদি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে চিনিগুড়া গাছ এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। কেননা চিনাগুড়া গাছের ফলে রয়েছে প্রাকৃতিক মিষ্টি উপাদান যাতে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি হতে বাধা দেয়। এবং এটি ডায়বেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
তাছাড়াও চিনিগুড়া গাছ বা স্টেভিয়া গাছে এর ফলে ভিটামিন সি এবং ডায়েটারি ফাইবার থাকে যা শারীরিকভাবে আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং আপনার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে থাকে। তবে চিনিগুড়া গাছের ফলের মিষ্টি উপাদান সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত এবং এটি পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।
রক্তচাপ কমাতেঃ রক্তচাপ কমাতে চিনিগুড়া গাছ বা স্টেভিয়া গাছ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। চিনিগুড়া গাছের পাতাতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে। স্টেভিয়া বা চিনিগুড়া গাছের পাতাতে রয়েছে খনিজ, বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি যার ফলে আপনার শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে।
এমনকি চিনিগুড়া গাছ বা স্টেভিয়া রক্তনালী গুলোকে শিথিল করে দেয় এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে। তাই আপনি যদি মনে করেন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে কি ব্যবহার করা যায় তাহলে চিনিগুড়া গাছ এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেঃ চিনিগুড়া গাছের উপকারিতা বলার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হলো ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখা। কেননা আমরা আমাদের ত্বক সম্পর্কে খুবই সচেতন হয়ে থাকি। বিশেষত মহিলারা আরো বেশি সচেতন হয়ে থাকে। আমরা কেউই চাই না আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ব্রুন বা রিংকেল থেকে থাকে।
তাই আমরা ত্বককে কিভাবে সুন্দর এবং বিভিন্ন রোগবালায় থেকে মুক্ত রাখতে পারি সে সম্পর্কে অনেক চেষ্টা করে থাকি। তো আপনি যদি আপনার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং তাদের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চান তাহলে চিনিগুড়া গাছ আপনাকে সাহায্য করতে পারে। স্টেভিয়া বা চিনিগুড়া গাছের পাতা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বেশ উপকারী।
কেননা এর পাতায় থাকার স্টেভিওসাইড এবং অন্যান্য উপাদান গুলো ত্বকের জন্য ভালো কাজ করে। চিনিগুড়া গাছের পাতায় থাকা খনিজ, বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে। এমনকি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এছাড়াও চিনিগুড়া গাছে অ্যান্টি রিংকেল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি একজিমা নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করতে পারে।
ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে চিনিগুড়া গাছের পাতা ব্যবহারের পূর্বে সতর্কতা হিসেবে এটি জেনে রাখা উচিত যে, এই গাছের পাতা ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো। কারণ আমাদের প্রত্যেকের শরীর একরকম নয়। একে একজনের শরীর একেক রকম তাই কার ত্বকে কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তা জেনে নেওয়া জরুরী।
এবং এটাও জেনে রাখা জরুরী যে চিনিগুড়া গাছের পাতা ব্যবহারের সময় পরিমিত পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত।
দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেঃ আমাদের দাঁতে বিভিন্ন রকম অসুখ হয়ে থাকে এবং আমাদের অনেকের মুখে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া দানা বেধে ওঠে। তাই আপনি যদি দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান এবং মাড়ের প্রধান দূর করতে চান তাহলে চিনিগুড়া গাছের পাতা এক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
চিনিগুড়া গাছের পাতা থেকে আমরা যে রস বা নির্যাস পেয়ে থাকি তা ব্যবহারে মুখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি কমানো যায় এবং তার পাশাপাশি দাঁতের গহ্বর এবং মাড়ির প্রধান প্রতিরোধে এই পাতার রস খুবই সাহায্য করে। তবে সতর্কতা হিসেবে মনে রাখতে হবে চিনিগুড়া গাছের সমগ্র অংশই বমনকারক গুণসম্পন্ন।
এর মানে আপনি যদি মাত্রাতিরিক্ত পরিমানে এটি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার বমি হতে পারে।
হৃদ যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেঃ হৃদ যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে চিনিগুড়া গাছ বা স্টেভিয়া গাছের ভূমিকা অনেক। আপনি যদি হৃদ যন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন বা সাধারণ অবস্থায় আমাদের উচিত গাছ খাওয়া যাতে ভবিষ্যতে হৃদ যন্ত্রের সমস্যা না হয় এবং তা ভালো থাকে।চিনিগুড়া গাছ বা স্টেভিয়া গাছের পাতা মিষ্টি জাতীয় বিধায় একটি চিনির বিকল্প হিসেবে স্বাস্থ্যকর।
এবং তা বেশ জনপ্রিয়। কেননা হৃদ যন্ত্রে প্রভাব যে সকল খাবারগুলো ফেলে তার মধ্যে অন্যতম চিনি। যখন চিনিগুড়া গাছের পাতা চিনির পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে তখন আপনি চিনির নেতিবাচক প্রভাব থেকে আপনার হৃদযন্ত্র কে বাঁচাতে পারেন। জাপানের প্রায় ৪০% মানুষ চিনির বিকল্প হিসেবে চিনিগুড়া গাছের পাতা ব্যবহার করে থাকে।
আপনি যদি মনে করে থাকেন যে হৃদ যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে শুধুই চিনিগুড়া গাছের পাতা খাওয়া যথেষ্ট হবে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। সেজন্য স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য খাদ্য তালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখতে হবে এবং তার সাথে সাথে নিয়মিত শরীর চর্চা করাও খুব জরুরী।
হৃদ যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যে সকল খাবার খাওয়া প্রয়োজন সে সকল খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আপনি যদি চিনিগুড়া গাছের পাতা খান তাহলে সেটি আপনার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী হবে।
চিনিগুড়া গাছ খাওয়ার নিয়ম
চিনিগুড়া গাছ সম্পর্কিত আলোচনা করার সময় আমরা উপকারিতা চিনিগুড়া গাছের সম্পর্কে জেনেছি। আমরা এখন বুঝতে পেরেছি শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময় এবং ত্বক ও দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় চিনিগুড়া গাছের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু উপকারিতা সম্পর্কে জানা থাকে যথেষ্ট নয় আমাদের জানতে হবে চিনি গোঁড়া গাছ আমরা কিভাবে খেতে পারি। আজকে আমরা চিনিগুড়া গাছ কিভাবে খাওয়া যায় সেই নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।
নিচে খাওয়ার নিয়ম গুলো উল্লেখ করা হলোঃ
- পাতা প্রস্তুতিঃ চিনিগুড়া গাছের পাতা খাওয়ার পূর্বেই আমাদেরকে সেই পাতাকে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। যাতে সেই পাতাতে কোন ময়লা বা আবর্জনা লেগে না থাকে।
- শুকানোঃ তারপরে সেই ধুয়ে নেওয়া পাতাকে আলো ছায়ায় ভালোভাবে শুকাতে দিতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনভাবে সরাসরি রোদ না পরে।
- গুড়া প্রস্তুতিঃ ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে সেই পাতাগুলোকে ভালোভাবে গুঁড়ো করে নিতে হবে।
- ব্যবহারঃ এখন এই পাতা ব্যবহার করার জন্য উপযুক্ত। আপনি এই পাতার গুড়াকে চিনির বিকল্প হিসেবে চা কফি এবং অন্যান্য খাবারের সাথে ব্যবহার করতে পারেন।
- মাত্রাঃ অতিরিক্ত পরিমাণে চিনিগুড়া গাছের পাতা খাওয়া যাবে না। কেননা এই পাতা খুবই মিষ্টি হয় তাই অল্প পরিমাণে ব্যবহার করুন। চিনিগুড়া গাছের সবুজ পাতা চিবিয়ে খাওয়া যায় অথবা আপনি এই পাতাকে শুকনো করে চায়ের সঙ্গে হাফ চামচ মিশিয়ে হারবাল টি বানিয়ে খেতে পারেন।
- আপনি যদি এই গাছের পাতার গুড়োকে চিনি হিসেবে ব্যবহার করতে চান তাহলে ২ থেকে ৩ চামচ এর বেশি ব্যবহার করা যাবে না।
উপরের দেওয়া পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি ঔষুধি গুণ সম্পন্ন চিনিগুড়া গাছকে খাওয়ার উপযোগী করে বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন এবং এর দ্বারা আপনি আপনার শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
চিনিগুড়া গাছ কোথায় পাওয়া যায়
চিনিগুড়া গাছ কোথায় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয় বাংলাদেশেও বিভিন্ন অঞ্চলে এই গাছ পাওয়া যায়। আপনি চিনিগুড়া গাছের অনেক উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছেন এবং এটাও জেনেছেন উপকারিতা চিনি গুড়া গাছের পাওয়ার জন্য কিভাবে খেতে হয় সে সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো চিনিগুড়া গাছ আসলে কোথায় পাওয়া যায়।
এই গাছের মূল জন্মভূমি হল প্যারাগুয়ের পাহাড়ে অঞ্চল। চিনিগুড়া গাছ মূলত সেই পাহাড়ি অঞ্চল থেকেই পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়েছে এমনকি চিনিগুড়া গাছ ব্রাজিলেও প্রচুর পরিমাণে জন্মায়। আপনি যদি চান যে চিনিগুড়া গাছ আপনি ব্যবহার করবেন তাহলে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বা ফেসবুক পেজে খোঁজাখুঁজি করলে সহজেই পেয়ে যাবেন এবং সেখান থেকে অর্ডার করে নিয়ে আসতে পারেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন নার্সারিতেও চিনিগুড়া গাছ লালন পালন করা হয় এবং তা বাজারে বিক্রি করা হয়। আপনি চাইলেও সে সকল নার্সারি থেকে নিতে পারেন। বাংলাদেশে সাধারণত ব্রাক নামক প্রতিষ্ঠান চিনিগুড়া গাছের উৎপাদন করে থাকে এবং বাজারে বিক্রি করে থাকে। তাই আপনি যদি শরীরের উপকার চান বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত থাকতে চান তাহলে এই সকল জায়গা থেকে চিনি গুড়া গাছ সংগ্রহ করে আপনিও খেতে পারেন।
চিনিগুড়া গাছ চেনার উপায়
চিনিগুড়া গাছ চেনার উপায় আমাদের জেনে রাখা খুবই জরুরী। কেননা আমরা চিনিগুড়া গাছের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি এবং এটি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও অবহিত। তারপরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চিনিগুড়া গাছ কোথায় পাওয়া যায় সে সম্পর্কেও আমরা জানলাম। এখন আমরা জানবো চিনিগুড়া গাছ কিভাবে চিনা যায়।
নিচে চিনিগুড়া গাছ বা স্টেভিয়া চেনার উপায় দেওয়া হলোঃ
- পাতার আকৃতিঃ আপনি যদি চিনিগুড়া গাছের পাতার দিকে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন গাছের পাতা লম্বাটে ধরনের এবং ডিম্বাকৃতি।
- পাতার রংঃ আপনি যদি গাছের পাতার রং খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন পাতাগুলো সবুজ রঙের হয়ে থাকে।
- পাতার কিনারাঃ চিনিগুড়া গাছের পাতার কিনারা সম্পর্কে বলতে গেলে পাতার কিনারাতে দাঁত থাকে।
- পাতার নিচের অংশঃ এই গাছের পাতার নিচের অংশ যদি তাকান তাহলে দেখবেন নিচে সাদা রোয়া থাকে।
- স্বাদঃ এখন আপনি যদি চিনিগুড়া গাছের পাতাকে স্বাদ নিয়ে বুঝতে চান তাহলে পাতাকে চিবিয়ে খেলে আপনি মিষ্টি স্বাদ পাবেন।
উপরে দেওয়া লক্ষণগুলো দ্বারা আমরা খুব সহজেই চিনিগুড়া গাছের পাতা এবং গাছকে চিনতে পারবো। চিনি গুড়া গাছ দেখতে অনেকটা তুলসী গাছের পাতার মত হয় এবং এর উচ্চতা প্রায় ৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এখন আমরা চিনিগুড়া গাছের ছবি দেওয়ার চেষ্টা করব যাতে আপনি একবার দেখাতেই চিনে গুড়া গাছকে সনাক্ত করতে পারেন।
এবং এই গাছকে আপনার কাঙ্ক্ষিত কাজে ব্যবহার করে আপনার শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত রাখতে পারেন।
নবান্ন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url