রোমানিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত । রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি

রোমানিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত, রোমানিয়া কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি, রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে এ সকল তথ্য সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। হ্যাঁ আমরা আজকে এই আর্টিকেলে এ সকল তথ্য সম্পূর্ণ বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের তুলনায় রোমানিয়ায় যাওয়া অনেক সহজ। 

রোমানিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত
কিন্তু কোন দেশে কাজ করতে যাওয়ার আগে সেই দেশের কাজের মান ও বেতনের স্কেল সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। তাই আজকে আমরা এই আর্টিকেলের রোমানিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত, রোমানিয়াতে কোন কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি, রোমানিয়া বেতন কত ও রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং রোমানিয়া টাকা বাংলাদেশের কত টাকা সে সকল সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।

পেইজ সুচিপত্রঃ রোমানিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত । রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি

রোমানিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ কোন দেশে যদি যাওয়া যায় কাজ করার জন্য তাহলে সেটি হলো রোমানিয়া। বাংলাদেশের অনেক মানুষ রোমানিয়াতে পাড়ি জমাচ্ছেন বিভিন্ন কাজের আশায়। সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রথমে জেনে নেওয়া উচিত রোমানিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত। এটা নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর যেমনঃ কোন প্রবাসীর কাজের দক্ষতা, ইংরেজি ভাষার জ্ঞান এবং ভিসার বিভিন্ন ধরনের উপর।

যদি আপনি রোমানিয়াতে সরকারিভাবে বৈধ ভাবে এবং কাজের দক্ষতা নিয়ে যান তাহলে আপনার সর্বনিম্ন বেতন ১০০০ ডলার থেকে ১২০০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। যার বাংলা টাকায় দাঁড়ায় ১০০০০০ টাকার উপরে। কিন্তু যদি আপনি অবৈধভাবে রোমানিয়া দেশে কাজ করার জন্য যান তাহলে আপনার সর্বনিম্ন বেতন হবে প্রায় ৫০০ ডলার। 

সাধারণত আপনি যে ওয়ার্ক পারমিটে প্রবাসে যাবেন সেই ওয়ার্ক পারমিটে লেখা থাকে আপনি কত টাকা বেতনে কাজে যাচ্ছেন। তাছাড়াও আপনার কাজের দক্ষতার অনুযায়ী আপনার বেতনের স্কেল বাড়তে পারে। আর এমনিতেও ওভারটাইম কাজের ক্ষেত্রে আপনি বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 

কিন্তু আপনার জন্য উপযুক্ত হবে যদি আপনি রোমানিয়া দেশে কাজ করতে যান তাহলে কমপক্ষে কোন কাজের দক্ষতা অর্জন করা এবং সম্ভব হলে ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা রাখা। তাহলে আপনি খুব সহজেই ভালো পরিমাণ বেতন অর্জন করতে পারবেন। কিন্তু আপনি সেই কাজই যদি দেশে করতে যান তাহলে সেই পরিমাণ টাকা অর্জন করা প্রায় স্বপ্নের মত। 

কিছুদিন পূর্বে রোমানিয়া সেনজেনভুক্ত দেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল না বিধায় সর্বনিম্ন বেতন কম ছিল। এখন যেহেতু রোমানিয়া সেনজেনভুক্ত হয়েছে সেহেতু সর্বনিম্ন বেতন আগের তুলনায় বেশি।

রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি

বর্তমান সময়ে রোমানিয়া দেশে অনেক ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। যারা বর্তমানে রোমানিয়া কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাদের উচিত হবে রোমানিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত এই বিষয়ে ভালোভাবে জেনে যাওয়া। আমরা উপরে রোমানিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। সেখান থেকে আপনি এ বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পারেন। এবং আপনার উচিত হবে রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি সেই কাজগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া কারণ, আপনি যে দেশে যান না কেন সে দেশের চাহিদাযুক্ত কাজের দক্ষতা নিয়ে আপনাকে যেতে হবে। 

সেই ভাবে রোমানিয়া দেশে যেসব কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি  সেসকল কাজের দক্ষতা সার্টিফিকেট নিয়ে যদি আপনি কাজের উদ্দেশ্যে প্রবাসে যান তাহলে আপনার বেতন স্বাভাবিকভাবেই বেশি হবে। 

তো আমরা আপনাকে এমন কিছু কাজের সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব যে কাজগুলো রোমানিয়া চাহিদা সবচেয়ে বেশি নিচে এমন কিছু কাজের তালিকা দেওয়া হলোঃ

আইটি সেক্টরে

রোমানিয়া সহ উন্নত দেশগুলোর যে কোন দেশেই আইটি সেক্টরে কাজের চাহিদা ও মান, বেতন সবসময় বেশি থাকে। যেহেতু বিশ্ব এখন আইটি নির্ভর, উন্নত হচ্ছে দিনে দিনে সেই হিসেবে আইটি সেক্টরের কাজের চাহিদা সব কাজের তুলনায় সব সময় বেশি থাকে। 

আইটি সেক্টরের যেসব বিষয়ের উপর আপনি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন সেসব বিষয়গুলো হলোঃ

  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  •  ডাটা এনাবেস্ট
  •  সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
  •  IT সাপোর্ট স্পেসালিস্ট

ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে

আইটি সম্পর্কিত বিষয়ে চাহিদার পরেই ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের চাহিদা সকল দেশে সব সময় বেশি থাকে। তো আপনি যদি ইঞ্জিনিয়ারিং যে কোন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রে রোমানিয়ায় ভালো বেতনের কাজ আপনি করতে পারেন। 

যে সকল বিষয়ের উপর আপনি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে সেগুলো হলঃ

  • সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

স্বাস্থ্য সেবা সেক্টরে

তারপর পরেই স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বেসরকারি এনজিও বিভিন্ন সেক্টরে বিভিন্ন পেশাতে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আপনি রোমানিয়াতে কাজ করতে পারেন। এ সকল বিষয়ে চাহিদা তুলনামূলক বেশি হয়। 

যে সকল কাজে দক্ষতা নিয়ে আপনি কাজ করতে পারেন সেগুলো হলঃ

  • ডাক্তার হওয়ার মাধ্যমে
  • নার্স হিসেবে
  • ফার্মাসিস্ট হওয়ার মাধ্যমে
  • কেয়ার গিভার হওয়ার মাধ্যমে

নির্মাণ বা তৈরি করা বিষয়ক সেক্টরে

বিভিন্ন নির্মাণ কাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বা বিভিন্ন বাড়ি ঘরে সাধারণত প্রয়োজনীয় ঠিক করার বিষয়ে কাজের দক্ষতা অর্জন করার ফলে আপনি কাজ করতে পারেন। 

রোমানিয়া দেশে যে সকল কাজ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন সেগুলো হলঃ

  • ইলেকট্রিশিয়ান অর্থাৎ বৈদ্যুতিক কোন সমস্যা সমাধান
  • টাইলস মিস্ত্রি হওয়ার মাধ্যমে
  • Plumber অর্থাৎ বাড়ি ঘরে পানির লাইন সম্পর্কিত বিষয়ক 
  • কনস্ট্রাকশন শ্রমিক হিসেবে অর্থাৎ লেবার এর কাজ করার মাধ্যম
  • ওয়াল্ডার অর্থাৎ লোহার দরজা, গ্রিল বা লোহা জাতীয় বিভিন্ন বিষয়ে ওয়েল্ডিং করার মাধ্যমে

পরিবহন সেক্টর

রোমানিয়া সহ বিভিন্ন দেশেই আপনি বিভিন্ন পরিবহন সেক্টর দক্ষতা অর্জন করে কাজ করতে পারেন। তো যে সকল কাজের দক্ষতা অর্জন করলে রোমানিয়াতে কাজের চাহিদা বেশি হয় সে সকল কাজ হলঃ

  • ট্রাক ড্রাইভার হওয়া
  • ট্যাক্সির ড্রাইভার
  • ডেলিভারি ড্রাইভার হওয়া
  • বাস ড্রাইভার হওয়া

আরো বিভিন্ন সেক্টরে

উপরের বর্ণিত সেক্টর ছাড়াও আরো বিভিন্ন সেক্টরে আপনি রোমানিয়াতে কাজ করতে পারেন। যা কাজের চাহিদা বেশি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নিচে সে সকল কাজের নাম দেওয়া হলোঃ

  • আপনি শিক্ষকতা করার মাধ্যমেও কাজ করতে পারেন
  • হোটেল ভয় হওয়ার মাধ্যমে
  • গার্মেন্টস এর কাজ করার মাধ্যমে
  • কৃষি কাজ করার মাধ্যমে
  • হোটেল এবং রেস্তোরায় কর্মী হিসেবে নিয়োগ হতে পারেন
  • বিক্রয় প্রতিনিধি হতে পারেন
  • গ্রাহক পরিষেবা প্রতিনিধি অর্থাৎ কাস্টমার কেয়ারে কাজ করতে পারে

রোমানিয়া বেতন কত

আপনি যেকোন দেশে কাজ করতে যান না কেন সেই সকল দেশের কোন কোন কাজে কত কত বেতন পাওয়া যায় সু সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা রাখা খুবই জরুরী। তাহলে আপনি টার্গেট রাখতে পারবেন যে আপনি কোন ধরনের কাজের দক্ষতা অর্জন করতে চাচ্ছেন এবং কোন ধরনের কাজ করতে চাচ্ছেন। এইখানে আমরা রোমানিয়া বেতন কত এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো।

আপনি যদি অনলাইনে বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানের সার্চ করার চেষ্টা করেন রোমানিয়া কাজের বেতন সম্পর্কে তাহলে আপনি সঠিক তথ্য নাও পেতে পারেন। কেননা প্রায় ই এজেন্সি গুলো তাদের কাস্টমার বাড়ানোর জন্য বেশি বেতনের লোভ দেখিয়ে থাকে। তাই আপনাকে যে কোন দেশে যাওয়ার পূর্বে বিভিন্ন মাধ্যমে সঠিক বেতন সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপরে সে সব দেশে কাজ করতে যাওয়া উচিত।

রোমানিয়া বেতন কত

কোন দেশে বিভিন্ন কাজের  বিভিন্ন বেতন নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর। নিচে কিছু বিষয় সম্পর্কে বলা হলো যার উপর ডিপেন্ড করে বেতন কম বেশ করা হয়ঃ

প্রথমত, কাজের ধরনঃ প্রথমত আপনাকে বুঝতে হবে বিভিন্ন কাজের উপর বিভিন্ন বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। আপনাকে দেখতে হবে সেটা কোন ধরনের কাজ কঠিন কাজ নাকি সহজ কাজ। শারীরিক শ্রম বেশি না মেধাশ্রম বেশি এগুলোর উপর ডিপেন্ড করে বেতন কমবেশ হয়ে থাকে।

দ্বিতীয়ত, অভিজ্ঞতাঃ অভিজ্ঞতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অভিজ্ঞ কর্মীদের চাহিদা সব সময় সকল ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে। আর অভিজ্ঞ কর্মীরা সাধারণত বেশি বেতনই পেয়ে থাকেন। সেহেতু আপনার যদি কোন বিষয়ের উপর অভিজ্ঞতা বেশি থাকে তাহলে আপনার বেতন স্কেল বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। 

এই অভিজ্ঞতা বাড়ানোর জন্য আপনি যেকোনো বিষয়ের উপর কাজ শেখার পর সেই সম্পর্কিত সেক্টরে দেশে থেকেই কিছু দিনের অভিজ্ঞতা অর্জন করে তারপরে বিদেশ যাওয়া ভালো হবে।

তৃতীয়ত, দক্ষতাঃ দক্ষ কর্মীদের বেতন বেশি হবে এটাই তো স্বাভাবিক তাই না। আপনি যদি কোন কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন যেমনঃ ইলেকট্রিক কাজে বলেন, টাইলস মিস্ত্রি হিসেবে বলেন বা শিক্ষকতা হিসেবেই বলেন না কেন। আপনি যদি কোন বিষয়ের উপর দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার মান, আপনার চাহিদা, আপনার মর্যাদা সবসময় সকল ক্ষেত্রে বেশি থাকে। 

সেহেতু প্রবাসে কোন কাজ করতে যাওয়ার পূর্বে সেই সকল কাজ সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

চতুর্থত, কোম্পানির ধরনঃ বিভিন্ন কোম্পানির কাজের বেতন বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই যে সকল কোম্পানির ছোট তারা তাদের কর্মচারীদের বেতন তুলনামূলক কম দিয়ে থাকে। অন্যদিকে যে সকল বড় কোম্পানিগুলো রয়েছে সে সকল বড় কোম্পানিগুলোর সুযোগ সুবিধা এবং এমনকি কর্মচারীদের বেতন অন্য সকল কোম্পানির তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। 

সেহেতু আপনাকে দেখতে হবে যে আপনি কোন কোম্পানিতে কাজ পাচ্ছেন। বড় কোম্পানি নাকি ছোট কোম্পানি। যদি বড় কোম্পানিতে কাজ পান তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার যে কোন কাজের বেতন তুলনামূলকভাবে বেশি হবে। আর যদি আপনি ছোট কোম্পানিতে কাজ পান তাহলে যে কোন কাজের বেতন হিসেবে আপনি তুলনামূলকভাবে কম বেতন পেয়ে থাকবেন।

পঞ্চমত, অবস্থানঃ বিভিন্ন অবস্থানের উপর ভিত্তি করেও কাজের বেতনের তারতম্য ঘটে থাকে। বিশেষত, যদি কোন দেশের রাজধানীতে কাজ পড়ে তাহলে সেখানকার বেতন তুলনামূলকভাবে বেশি হবে। কেননা সেখানে জীবনযাত্রার মান অন্যান্য শহরের তুলনায় বেশি। আর যদি অন্যান্য শহরে বা ছোট শহরে কাজ পড়ে থাকে। তাহলে আপনার বেতন কম ধরা হবে। 

কেননা সেখানে রাজধানীর তুলনায় জীবনযাত্রার মান কম ও খরচ কম তাই আপনার বেতনও কম।এই সব বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বেতনের তারতম্য ঘটে থাকে। তাই সঠিকভাবে বলা যায় না কোন কাজের জন্য কোন নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট বেতন পাবেন। 

নিচে আনুমানিক মাসিক বেতনের কিছু ধারনা দেওয়া হলো যে কোন কাজের জন্য কত বেতন পেতে পারেনঃ

কাজের ধরণ মাসিক বেতন
কনস্ট্রাকশন শ্রমিক ৬৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ দশ হাজার
সেফ অর্থাৎ রেস্টুরেন্টের বাবুর্চী ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার
ফুট প্যাকেজিং ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার
হোটেল কর্মী ৬৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ
ডিজাইনের ৬৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার
ড্রাইভার ৬৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ
সাধারণ শ্রমিক ৬৫ হাজার থেকে ৮০ হাজার
টাইলস শ্রমিক ৭০ হাজার থেকে ৯০ হাজার
ক্লিনার ৭০ হাজার থেকে ৯০ হাজার
মেকানিক্যাল ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার
ইলেকট্রিশিয়ান ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার
হোটেল ম্যানেজার ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার

এখন যদি আপনি রোমানিয়াতে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে উপরে দেওয়া তালিকাটি আপনাকে সাহায্য করবে। কোন রেঞ্জের বেতন পেতে আপনি ইচ্ছুক সেই হিসেবে আপনাকে সেই কাজ সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। 

আপনি যদি সেই কাজের দক্ষতা অর্জন করতে পারেন এবং সেই কাজ এর বিষয়ে দেশেই যদি কোন অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে উপরে বর্ণিত মাসিক বেতনের পরিমাণ এর চেয়েও বেশি বেতনে আপনি চাকরি পেতে পারেন। সেহেতু দক্ষতা অর্জন করুন এবং প্রবাস যেয়ে টাকা উপার্জন করুন।

রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে

আমরা অনেকেই প্রবাসে কাজ করার মাধ্যমে সহজে বেশি টাকা উপার্জনের জন্য বিভিন্ন দেশে গিয়ে থাকি। ইউরোপ দেশগুলোর মধ্যে রোমানিয়াতে কাজ করতে যাওয়া তুলনামূলকভাবে খুবই সহজ। সেহেতু রোমানিয়াতে কাজ করতে যাওয়ার পূর্বে আমাদেরকে জানতে হবে কোন কোন কাজের চাহিদা এবং কোন কোন কাজের বেতন বেশি। 

এইসব সম্পর্কে আলোচনা আমরা উপরে করে এসেছি। আমরা আশা করি আপনি উপরের আলোচনা থেকে উপকৃত হয়েছেন। এসব কিছু জানার পর আমাদেরকে জানতে হবে যে আমরা রোমানিয়াতে যাওয়ার জন্য কোন ভিসার ক্ষেত্রে কত টাকা লাগতে পারে। রোমানিয়াতে যেতে আপনার কত টাকা লাগবে সেটা নির্ভর করে ভিসার ক্যাটাগরির উপর এবং ভিসার মেয়াদের উপর। 

বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে রোমানিয়াতে যেতে চায়। সেরকমভাবে উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসার প্রকারভেদ হয়ে থাকে। আপনি যদি মনে করেন যে আপনি রোমানিয়া যেতে চান পড়ালেখার উদ্দেশ্যে তাহলে সেটি হবে স্টুডেন্ট ভিসা। আর আপনি যদি যেতে চান চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তাহলে সে ভিসার নাম হবে মেডিকেল ভিসা। 

আপনি যদি যেতে চান রোমানিয়াতে কাজ করার উদ্দেশ্যে তাহলে সেটি হবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। আপনি যদি চান আমি শুধুই রোমানিয়াতে যাব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘুরে দেখার জন্য তাহলে আপনাকে টুরিস্ট ভিসা করতে হবে। এই সকল ক্যাটাগরি ছাড়াও আরো বিভিন্ন উদ্দেশ্যে মানুষ রোমানিয়ায় যেয়ে থাকে তাদের জন্য বিভিন্ন প্রকারের ভিসা রয়েছে। 

রোমানিয়া ভিসার দামের ভিতরে আপনার সকল ধরনের খরচ অন্তর্ভুক্ত করা আছে। আপনাকে অতিরিক্ত কোন অর্থ প্রদান করা লাগবে না। ভিসার দামই সবশেষ টাকা দেওয়া যেমনঃ মেডিকেল খরচ, পুলিশ ভেরিফিকেশন খরচ, পাসপোর্ট খরচ, ভিসা আবেদন ফি, এজেন্সি খরচ, ভাষা শেখার খরচ, বিমান টিকিটের খরচ, স্কিল শেখার খরচ ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিসের দাম ভিসার দামের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা আছে।

নিচে আপনাদেরকে কিছু ভিসা ক্যাটাগরি এবং সে সকল ক্যাটাগরির আনুমানিক ভিসার খরচের মূল্য তালিকা দেওয়া হলোঃ

ভিসা ক্যাটাগরি আনুমানিক ভিসার খরচ
কোম্পানি ভিসা ১১ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা
জব ভিসা ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা
ড্রাইভিং ভিসা ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা
গার্মেন্টস ভিসা ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা
সিজনাল ভিসা ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা
কৃষি ভিসা ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা
টুরিস্ট ভিসা ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা
স্টুডেন্ট ভিসা ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা

এই টেবিলে আমরা আনুমানিক ভিসার খরচ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যদি আপনি সরকারিভাবে রোমানিয়ার যান তাহলে এর চেয়ে ও খরচ কম পড়বে। আর যদি আপনি বেসরকারিভাবে কোন এজেন্সির মাধ্যমে যান তাহলে এর চেয়েও বেশি খরচ পরতে পারে। সেহেতু আপনার উচিত হবে সরকারি ভাবে রোমানিয়ায় যাওয়া। 

তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি নামমাত্র খরচের মাধ্যমে রোমানিয়া যেতে পারবেন। আর এই সকল খরচের বেশিরভাগই রোমানিয়া সরকার বহন করে থাকে।

রোমানিয়া টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র হচ্ছে রোমানিয়া। রোমানিয়া দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপের একটি বৃহত্তম দেশ। ইউরোপের ১২ তম বৃহত্তম দেশ রোমানিয়া। আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যেই বলেন, পড়ালেখার উদ্দেশ্যেই বলেন অথবা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বলেন যে কোন দেশে যেতে চান তাহলে আপনাকে এদেশের সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে থাকা জরুরী। 

রোমানিয়া টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এদেশের টাকা। রোমানিয়ান দেশের মুদ্রার নাম হচ্ছেঃ রোমানিয়ান লিও। আপনি যদি অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন যে রোমানিয়ান কত টাকায় বাংলাদেশের কত টাকা হয় তাহলে হ্যাঁ আমরা আপনাকে এই আর্টিকেলে ভালোভাবে জানাবো এ সম্পর্কে। 

রোমানিয়ার ১ লিউ বর্তমান মূল্য যদি আপনি দেখেন তাহলে সেটা হলোঃ ১ লিউ = ২৩ টাকা ৬৩ পয়সা।

এই তথ্য আপনার জেনে থাকার ফলে আপনার উপকার হবে যে আপনি যদি দেশে রোমানিয়ান টাকা পাঠাতে চান। তাহলে এ সম্পর্কে জেনে থাকার কারণে যখনি রেটের দাম বাড়বে তখন আপনি দেশে টাকা পাঠাতে পারেন। কেননা টাকার দামের রেট সব সময়ই কমবেশ করে থাকে। তাই নির্দিষ্ট ভাবে কোন কিছু বলা যায় না। 

এখন আপনি যদি জানতে চান রোমানিয়া হাজার লিউ বাংলাদেশের কত টাকা তাহলে সেটি হলঃ 

১০০০ লিউ = ২৩,৬২৫ টাকা ১১ পয়সা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নবান্ন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url