কচুর লতিতে এলার্জি । কচুর লতি খেলে কি এলার্জি হয় ??

আপনারা হয়তো জানতে এসেছেন কচুর লতি খেলে কি অ্যালার্জি হয়। আমরা আজকের এই আলোচনা থেকে তা জানতে পারব। কিন্তু আপনারা জানেন না কচু লতিতে কত উপকারিতা হয়েছে। কচুর লতি খুবই পরিচিত একটা সবজি। আমাদের দেশে অনেকেই কচুর লুচি খেতে পছন্দ করেন না কারণ এসব খেলে গলায় অল্প চুলকানি হয়। তবে যদি এই খাবারটি সঠিকভাবে রান্না করা যায় তাহলে মোটেই চুলকায় না।

পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে কচুর লতি। কেননা এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। যারা খেলোয়াড় বা বাড়ন্ত শিশু অথবা যারা কেমোথেরাপি নিচ্ছেন তাদের জন্য কচুর লতি খাওয়া খুবই উপকারী।

যদি কচুর লতিকে চিংড়ি অথবা শুটকি দিয়ে রান্না করা যায় তবে খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। এই সুস্বাদু সবজিটি শুধু খেতেই ভালো তা নয় এর যে কত গুণাগুণ রয়েছে সে সম্পর্কে অনেকে অবহিত নন। অথচ এই কচুর লতিটি পুষ্টিগুণে ভরপুর।

কচুর লতি দেহের হাড় শক্ত ও চুলে ভঙ্গতা রোধ করতে সক্ষমতা রাখে। কেননা এ তে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম। এতে ডাইটারি ফাইবার বা আশের পরিমাণ খুব বেশি আছে আর আশজাতীয় খাবার খুব সহজে হজম করা যায়। তাই এই খাবার খুব সহজে হজম করে দীর্ঘদিনের কষ্টকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

এছাড়াও কচুর লতি যে কোন ধরনের বড় অপারেশনের পর খাবার হজমের জন্য উপকারী খাদ্য হিসেবে কাজ করে।

 যদি আপনারা কচুর লতির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান এবং এতে এলার্জি হয় কি হয় নাই সে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ুন। তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন। তাই আসুন বেশি দেরি না করে কচুর লতির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

 কচুর লতির উপকারিতা

১।  কচুর লতি মানব দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কেননা এতে ভিটামিন সি রয়েছে।

২। কচুর লতিতে রয়েছে ফলেট, থাইয়ামিন ও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার।

৩। খুব দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে কচুর লতি আমাদের খাওয়া উচিত।

৪। যদি আপনি আপনার রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে চান তাহলে আপনি কচুর লতি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন।

৫। কচুর লতি হাড়ের গঠন শক্ত করে কেননা এতে ক্যালসিয়াম রয়েছে।

৬। কচুর লতি রক্তশূন্যতা কমাতে সাহায্য করে কেননা এতে রয়েছে প্রচুর লোহা।

৭। কচুর লতিতে প্রচুর পানি থাকে। আমাদের খাদ্য চালিকায় আমাদের কচুর লতি রাখা উচিত। কেননা গরমে প্রচুর পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।

৮। কচুর লতি ব্রেস্ট ক্যান্সার ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। শিশুদেরকে যদি বেশি করে তেল দিয়ে খাওয়ানো যায় তাহলে সেটা ভালো হবে। এতে শিশুদের রাতকানা রোগের আশঙ্কা কমে যাবে।

৯। কচুর লতি খাবার হজম করতে সাহায্য করে। কেননা কচুর লতিতে প্রচুর আঁশ রয়েছে যা দেহ থেকে বর্জ্য বের করে দেয়।

১০। যারা শর্করা জাতীয় খাদ্য পরিহার করে চলতে চান তারা কচুর লতি খাবার হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। কেননা মুখ বা কচুর চেয়ে কচুর লতিতে শর্করার পরিমাণ কম থাকে।

১১। যদি আপনি আপনার ত্বক আর চুল ভালো রাখতে চান এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান, তবে কচুর লতি খেতে পারেন। কেননা এতে ভিটামিন বি ও আয়োডিন রয়েছে।

এ পর্যন্ত আলোচনা থেকে আমরা কচুর লতির অনেক উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলাম। এবার আমরা জানবো কচুর লতির ক্ষতিকর কি কি দিক রয়েছে সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।

কচুর লতির অপকারিতা

১। যারা এলার্জির ভয়ে কচুর লতি খেতে চান না আর তারা ঠিক কাজই করেছেন। কেননা কচু খেলে শরীরে এলার্জি ও হজমে সমস্যা দেখা দেয়।

২। যারা কচুর লতি চুলকানির কারণে খেতে চান না তারা কচুর লতির তরকারিতে খাওয়ার সময় কিছুটা লেবুর রস দিয়ে খেতে পারেন। কচুর লতি গলা চুলকায় এর কারণ হচ্ছে কচুতে অক্সলেট রয়েছে।

৩। কচুর লতি খাওয়ার সময় চিংড়ি ও শুটকি দিয়ে খেতে খুবই মজা লাগে। কিন্তু তাদের জন্য চিংড়িও শুটকি বর্জন করা উচিত যারা ডায়াবেটিস হৃদরোগ ও উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল জনিত সমস্যায় আক্রান্ত বা হাই ব্লাড প্রেসারে ভুগছেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নবান্ন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url