১৫টি কার্যকরি উপায়ে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন

প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন এ বিষয়ে আপনি জানতে চাচ্ছেন। আর হ্যাঁ, আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানেই আমরা আপনাদের জানাবো কোন সেরা ১৫ উপায়ে আপনি প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

এই সকল উপায় গুলো আপনি খুব সহজেই ব্যবহার করার মাধ্যমে অনলাইন এবং অফলাইন দুই পদ্ধতিতে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত এমনকি তার চেয়েও বেশি উপার্জন করতে পারবেন।

প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয়

উপার্জন আমরা কেই বা বা করতে চাই না। কিন্তু সঠিক কোন পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই উপার্জন করতে পারবেন সেটা জানা জরুরি। হতে পারে কোন কাজ করার ফলে যে টাকা আমরা গ্রহণ করি তা আমরা দৈনিকভাবে বা মাসিকভাবে এমনকি সাপ্তাহিক ভিত্তিতে নিতে পারি।

সাপ্তাহিক ভিত্তিতে 4000 টাকা উপার্জন করার অর্থ দাঁড়ায় মাসিক হিসাবে তা প্রায় ১৬ হাজার টাকার মতো। প্রাথমিকভাবে যে কোন কাজে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকার বেতনের ভেতরেই হয়ে থাকে। তাই এ সম্পর্কে যদি আপনি জানতে ইচ্ছুক হন তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে  সম্পূর্ণ পড়ুন।

প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করার পদ্ধতি

উপার্জন মৌলিকভাবে দুই পদ্ধতিতে করা যায়ঃ

    1. অনলাইন পদ্ধতিতে
    2. অফলাইন পদ্ধতিতে

অনলাইন পদ্ধতিতে বলতে, বুঝায় আপনি ঘরে বসে থেকে সশরীরে না গিয়ে যেকোনো অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা। যেমনঃ ব্লগিং করা, ফ্রিল্যান্সিং করা, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করা, অনলাইন টিউটরিং করা ইত্যাদি। 

অন্যদিকে অফলাইন পদ্ধতিতে বলতে, সশরীরে টাইপসময়ের মাধ্যমে কোন কাজ করা কে বোঝায়। অনলাইনে আপনার মেধাশ্রম লাগে অন্যদিকে অফলাইনে আপনার শারীরিক শ্রম ব্যয় হয়। আমরা এখানে অনলাইন এবং অফলাইন উভয় পদ্ধতিতে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা উপার্জন করার সেরা ১৫ পদ্ধতি জানাবো। তাই ধৈর্য সহকারে আমাদের সাথেই থাকুন।

অনলাইন পদ্ধতিতে প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়

অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে আপনি প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত এমনকি তার চেয়েও বেশি উপার্জন করতে পারবেন সেই পদ্ধতিগুলো আলোচনা করব। এখান থেকে আপনি যে কোন একটি পদ্ধতিতে কাজ করার মাধ্যমে উপকৃত হতে পারেন এবং আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণ করতে পারেন। একনজরে সেই তালিকাটি দেখে নিইঃ

  1. অনলাইন টিউটরিং এর মাধ্যমে
  2. ডোমেইন ট্রেডিং এর মাধ্যমে
  3. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে
  4. ভিডিও ট্রান্সক্রাইবিং এর মাধ্যমে
  5. ট্রান্সলেশন জব এর মাধ্যমে
  6. ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে
  7. অনলাইনে গেমিং করার মাধ্যম
  8. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হওয়ার মাধ্যমে
  9. ব্লগিং করার মাধ্যমে
  10. প্রুফ রিডিং কাজের মাধ্যমে

অনলাইন টিউটরিং এর মাধ্যমে

অনলাইন থেকে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে একটি উপায় হচ্ছে অনলাইন টিউটরিং করার মাধ্যমে উপার্জন করা। অনলাইন টিউটরিং বলতে আপনি আপনার কোন তথ্য বা কোর্স বা আপনার জানা কোন বিষয় অনলাইন এর মাধ্যমে মানুষের কাছে বিক্রি করাকে বোঝায়।

অনলাইন টিউটরিং এর মাধ্যমে উপার্জন করার ক্ষেত্রে আপনাকে নিম্নলিখিত ধাপ গুলো অনুসরণ করতে হবেঃ

১। প্ল্যাটফর্ম নির্বাচনঃ আপনাকে একটি উপযুক্ত অনলাইন টিউটরিং প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করতে হবে। যেমন Udemy, Skill Share বা Coursera ইত্যাদি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুন।

২। কোর্স তৈরিঃ এখন আপনার দক্ষতা অনুযায়ী যে কোন কোর্স অর্থাৎ আপনি যে কোন বিষয়ে দক্ষ যদি হয়ে থাকেন সে বিষয়ে যদি মানুষকে জানাতে বা পড়াতে আপনার ভালো লেগে থাকে সেই বিষয়ে একটি ভালো মানের ভিডিও এবং পাঠ্য সামগ্রী তৈরি করুন।

৩। মার্কেটিংঃ এই পর্যায়ে আপনাকে আপনার পোস্টটি মার্কেটিং করা লাগবে এর মানে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমনঃ Facebook, Youtube এবং বিভিন্ন অনলাইন ফোরামে আপনার কোর্সটি প্রচার করুন।

৪। মূল্য নির্ধারণঃ কোর্সের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক স্ট্রেটেজি। আপনাকে আপনার কোর্সের জন্য একটি উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। প্রথমত আপনি কম মূল্যে অফার দিয়ে কোর্সটি ছাত্রদের নিকট আকর্ষণীয় করে তুলুন। যাতে ছাত্ররা কম মূল্যের কারণে কোর্সটি কিনতে আগ্রহী হয়।


৫। ফিড ব্যাক ও রিভিউঃ আপনি আপনার ছাত্রদের কাছ থেকে কোর্সের ফিডব্যাক গ্রহণ করুন এবং তাদের রিভিউ পাবলিশ করুন। যাতে এটি নতুন ছাত্রদের জন্য আকর্ষণীয় হতে পারে।

৬। ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধিঃ আপনি আপনার কোর্সে আরো বেশি ছাত্র নিয়োগ করার জন্য কাজ করুন। যেমনঃ গ্রুপ ক্লাস বা ওয়েবিনার আয়োজন করতে পারেন।

৭। সময় ব্যবস্থাপনাঃ আপনাকে প্রতি সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট সময় এই অনলাইন টিউটরিং এর জন্য ঠিক করতে হবে। যাতে আপনি নিয়মিত নতুন নতুন কোর্স বাজারে ছাড়তে পারেন।

ডোমেইন ট্রেডিং এর মাধ্যমে

প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা অনলাইনে উপার্জন করার অন্য একটি মাধ্যম হচ্ছে ডোমিন ট্রেডিং করা। ডোমেন ট্রেডিং হল, আপনি কোন একটি ওয়েবসাইটের ডোমেইন নাম কিনে রাখলেন এবং তা পরবর্তীতে চাহিদা অনুযায়ী উচ্চ মূল্যে বিক্রি করলেন। এর মাধ্যমে আপনি প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা বা তার বেশিও কামাই করতে পারবেন। 

নিচে ডোমেইন ট্রেডিং করার কিছু ধাপ দেওয়া হলো যা অনুসরণ করলে আপনি ডোমেইন ট্রেডিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেনঃ

১। বাজার গবেষনা ও ডোমেইন নির্বাচনঃ জনপ্রিয় এবং চাহিদা সম্পন্ন একটি ডোমেইনের নাম যেমনঃ শর্ট এবং সহজে মনে রাখা যায় এবং ভবিষ্যতে চাহিদা বাড়বে এবং কিওয়ারড সমৃদ্ধ ডোমেইন খুঁজুন এবং তা সনাক্ত করুন।

২। ডোমেন ক্রয়ঃ নির্বাচিত ডোমেনটি সঠিক মূল্যে ক্রয় করুন। ডোমেইন কিনার সময় বিভিন্ন রেজিস্টার থেকে তাদের মূল্য ও সেবা তুলনা করে যাচাই করুন।

৩। ডোমেইন পার্কিংঃ ক্রয় কৃত ডোমিন টি একটি পার্কিং প্ল্যাটফর্মে পার্ক করুন। জনপ্রিয় পার্কিং প্ল্যাটফর্ম গুলোর মধ্যে একটি পার্কিং প্ল্যাটফর্ম হল Sedo.com। ডোমেন পার্কিং হলো এমন একটা পদ্ধতি যেখানে আপনি একটা ডোমেনের নাম কিনে রাখেন এবং সেটি একটি অস্থায়ী ওয়েব পেজে থাকে। যখন কোন দর্শক ডোমেইন্টি কিনতে যায় তখন সেখানে প্রদর্শিত হয় যে ডোমেইন্টি এতিমধ্যে কিনা হয়ে গেছে।

৪। বিজ্ঞাপন প্রদর্শনঃ পার্ক করা ডোমেইনে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আপনি আয় করতে পারেন।

৫। মার্কেটিং এবং প্রচারণাঃ আপনি যে ডোমেইনটি কিনেছেন সে ডোমেনটির জন্য মার্কেটিং করুন এবং সম্ভাব্য যত ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো যায় আপনি তার বিজ্ঞাপন পৌঁছে দিন।

৬। ডোমেইন বিক্রয়ঃ এখন আপনার ডোমেনটি বিক্রয় করুন। আপনি একটি ভালো কিওয়ার্ডসমৃদ্ধ ও চাহিদা সম্মত ডোমেইন কিনে বিক্রয় করলে বড় অংকের লাভ করতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে আপনি প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। আসুন প্রথমেই জেনে নেই, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট কি? এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যা আপনার নিজের বা আপনার ক্লায়েন্টের সোশ্যাল মিডিয়া প্রেজেন্টস ব্যবস্থাপনা করে। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের উপর আপনার পণ্য বা সেবার পোস্ট তৈরি করে প্রকাশ এবং বিশ্লেষণ করতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্রেজেন্টস বলতে, আপনার বা আপনার আপনার ব্যবসার অনলাইনে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে উপস্থিত বুঝায়। এর মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে পারেন। এবং মানুষের সাথে সংযুক্ত স্থাপন করতে পারেন। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া প্রেজেন্সের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্রান্ডের গল্প বলতে পারবেন এবং গ্রাহকদের সাথে ইন্টারেকশন এর মাধ্যমে আপনার পণ্য বা সেবার বিক্রি বাড়াতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট একটি মার্কেটিং বিভাগের বিশেষায়িত পদ। যেখানে আপনি বিজনেসের প্রচারণা তদারকি করতে পারেন। 

নিচে এমন কিছু ধাপ দেওয়া হলো যে কৌশল গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেনঃ

১। ব্র্যান্ড তৈরিঃ আপনার নিজের বা আপনার ক্লায়েন্টদের জন্য একটি ব্র্যান্ড প্রথমেই তৈরি করুন।

২। কনটেন্ট তৈরিঃ এরপর আকর্ষণীয় এবং মানসম্পন্ন একটি এমন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করেন যা মানুষকে আকৃষ্ট করবে।

৩। সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারঃ এরপর আপনার সেই কনটেন্টটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ Facebook Twitter Linkdin Pinterest ইত্যাদি প্লাটফর্মে প্রচারণা চালান।

৪। টার্গেট অডিয়েন্সঃ আপনার ফোন নম্বর বা সেবার জন্য আপনি আপনার উপযুক্ত ক্রেতা টার্গেট করুন।

৫। ইন্টারেকশন বাড়ানোঃ ফলোয়ারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করার মাধ্যমে তাদের সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান এবং তাদের ফিডব্যাক নিন।

৬। প্রচার অপটিমাইজেশনঃ এখন আপনার সেখানে বিজ্ঞাপন দেখানো এবং প্রচার-প্রচারণা চালানোর জন্য একটি বাজেট নির্ধারণ করুন এবং তা অপটিমাইজ করুন।

৭। মনিটরিং এবং ট্রাকিংঃ এখন আপনি যে প্রচার প্রচারনাগুলো চালাচ্ছেন সেই প্রচারণার ফলাফল মনিটর করুন এবং সেই ফলাফলের উপর ভিত্তি করে আপনার কৌশল পরিবর্তন করতে থাকুন।

ভিডিও ট্রান্সক্রাইবিং এর মাধ্যমে

প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আপনি এই পথে ইনকাম করতে পারবেন। ভিডিও ট্রান্সক্রাইবিং হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি কোন ভিডিওর অডিও অংশকে লিখিত পৃষ্ঠে রূপান্তরিত করেন। ট্রান্সক্রাইবিং করা হয় যাতে ভিডিওর বক্তব্য গুলো পড়া যায়। যা বিভিন্ন শ্রোতাদের জন্য বোঝা অনেক সহজ করে তোলে এবং ভিডিও কনফারেন্সকে আরো অনুসন্ধান যোগ্য করে তোলে।

ট্রান্সক্রাইবিং অনেক কারণে প্রয়োজনঃ

  • Accessibility: শ্রবণ প্রতিবন্ধী বা যারা অন্য ভাষাভাষী শ্রোতা রয়েছে তাদের জন্য ভিডিও কনটেন্ট আরো সহজ করে তোলে বুঝার জন্য।
  • SEO: ট্রান্সক্রিপ্ট ভিডিও কনটেন্টকে সার্চ ইঞ্জিনে যদি আরও ভালোভাবে রেংক করাতে চান তাহলে ট্রানস্ক্রাইবিং তা সহজ করে তোলে। 
  • শিক্ষা ও গবেষণাঃ গবেষণার কাজে নিয়োজিত গবেষক ও বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা ট্রান্সলেট থেকে অনেক তথ্য সহজে পেতে পারেন ও উপকৃত হতে পারেন।
  • বহুভাষিক সাপোর্টঃ ট্রান্সলেটকে অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করার মাধ্যমে বিভিন্ন ভাষাভাষী দর্শকদের জন্য ভিডিও বোঝা আরো সহজ হয়ে যায়।

ভিডিও ট্রান্সক্রাইবিং করার মাধ্যমে আপনি যদি আয় করতে চান তাহলে নিচে দেওয়া উপায় গুলি অনুসরণ করতে পারেনঃ

১। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধনঃ আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি প্ল্যাটফর্মে যেমন Upwork, Fiverr, Freelancer.com এ রেজিস্টার করুন।

২। প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরিঃ আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা যদি প্রদর্শন করতে চান তাহলে আপনাকে একটি প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। যা দেখে বায়ার খুব সহজে আপনার দক্ষতা যাচাই করতে পারে।

৩। পোর্টফোলিও তৈরিঃ বায়ারকে যদি দেখাতে চান আপনি কেমন ভাবে কাজটি সম্পন্ন করেন তাহলে আপনি আপনার প্রোফাইলে পোর্টফোলিও তৈরি করে রাখতে পারেন। পোর্টফোলিও হলো আপনার আগের কাজের নমুনা।

৪। ক্লাইন্টের সাথে যোগাযোগঃ যত টুকু সম্ভব ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখুন এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি সার্ভিস অফার করুন।

৫। মানসম্মত কাজ প্রদানঃ এখন আপনার প্রোফাইলের রিভিউ বাড়ানোর জন্য মানসম্মত এবং সময়মতো কাজ করে সাবমিট করুন।

৬। মার্কেটিং করুনঃ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বা ব্লগ পোস্ট বা অনলাইন ফোরামে এই সার্ভিসটি প্রচার করতে পারেন।

.৭। প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণঃ বাজারে অন্যান্য মানুষদের তুলনায় চাহিদা অনুযায়ী একটি প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণ করুন।  যাতে মানুষ আপনার কাছ থেকে সেবা ক্রয় করতে আগ্রহী হয়।

৮। গ্রাহক সেবা উন্নত করুনঃ সর্বোপরি আপনার কাজ হল গ্রাহকদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং তাদের ফিডব্যাক অনুযায়ী আপনার সেবাকে আরো উন্নত করা।

ট্রান্সলেশন জব এর মাধ্যমে

প্রতি সপ্তাহে 4000  টাকা বা তার চেয়ে বেশি উপার্জন করার জন্য ট্রান্সলেশন জব একটা অন্যতম মাধ্যম। আপনি অনলাইনে জনপ্রিয় ফ্রিল্যানসার মার্কেটপ্লেস এবং প্রফেশনাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে এই ট্রান্সলেশন জবের জন্য আবেদন করে রাখতে পারেন। 

অনেক সময় ট্রান্সলেশন এজেন্সি গুলো নতুন ট্রান্সলেটরদের অনেক কাজের সুযোগ দেয়। এখন আপনি যদি বিশেষ কোনো বিষয়ে ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন যেমনঃ মেডিকেল বা লিগেল ট্রান্সলেশন তাহলে সেই ধরনের কাজের জন্য আলাদা চাহিদা থাকে।

ট্রান্সলেশন জব এর জন্য প্রয়োজনীয় কোয়ালিফিকেশনঃ

প্রথমত, আপনাকে অন্তত দুটি ভাষায় পারদর্শী হতে হবে তার মধ্যে একটি আপনার মাতৃভাষা হবে এবং অন্যটি হবে যে ভাষাতে ট্রান্সলেটর হিসেবে জব করতে চান। এরপর আপনার যদি মেডিকেল বা লিগ্যাল ট্রান্সলেশন সংক্রান্ত কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে জ্ঞান থেকে থাকে এবং এইসব টার্মিনোলজি জেনে থাকেন তাহলে এই সকল ক্ষেত্রে আলাদা চাহিদা রয়েছে।

এর পরেই আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্ড প্রেসিং সফটওয়্যার এবং কম্পিউটার ব্যবহার করার জন্য কম্পিউটার সম্পর্কিত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।এছাড়াও আপনি বিভিন্ন ট্রান্সলেটর প্রোগ্রাম বা কোর্সে জয়েন হতে পারেন। এই জব শুরু করার পূর্বে আপনি সেখান থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারবেন যাতে আপনি একজন দক্ষ ট্রান্সলেটর হয়ে ওঠেন এবং অনেক সময় আপনাকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয় যা আপনার জবের ক্ষেত্রে কাজে লাগে।

ট্রান্সলেশন জব করার মাধ্যমে প্রতি সপ্তায় 4000 টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবেঃ

প্রথম পদ্ধতিঃ

এই পদ্ধতিতে আপনি ট্রান্সলেশন জব খুঁজতে পারেন। আপনাকে বিভিন্ন প্রফেশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ এবং ফ্রিল্যান্স ট্রান্সলেটরদের জন্য অনলাইন ট্রানসলেশন জবের যেই মার্কেটপ্লেসগুলো রয়েছে সেগুলো চেক করতে হবে। তারপর বিভিন্ন জব বোর্ডে আপনার প্রোফাইল তৈরি করতে হবে এবং নিয়মিত আপডেট থাকতে হবে। 

এরপর ট্রান্সলেশন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রোগ্রাম বা কোর্স করার মাধ্যমে আপনার দক্ষতা দিন দিন বৃদ্ধি করতে হবে এবং সবশেষে এজেন্সি গুলোর সাথে যোগাযোগ করতে থাকতে হবে এবং তাদের কাজের জন্য আবেদন করতে হবে। 

এছাড়াও আপনি bdjobs.com এবং Linkdin এ নিয়মিত চাকরির বিজ্ঞাপন দেখতে পারেন সেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দমত চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন।

দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ

বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ট্রান্সলেশন জব খোঁজার জন্য যে ধাপগুলো অনুসরণ করবেন তা নিচে দেওয়া হলঃ

১। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে প্রোফাইল তৈরি করুনঃ আপনার Fiverr, Freelancer.com এই সকল ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে।

২। ক্লাইন্টদের সাথে যোগাযোগ করুনঃ আপনি মার্কেটপ্লেস গুলোতে বিভিন্ন বিড করে রাখতে পারেন বিভিন্ন প্রজেক্টের জন্য।  ক্লাইন্টের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।

৩। দক্ষতা বাড়ানঃ নিয়মিত বিভিন্ন ভাষার উপরে কোর্স বা প্রোগ্রাম করার মাধ্যমে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করুন।

৪। সময় মেনে চলুনঃ প্রজেক্ট হাতে পাওয়ার পর সময়মতো তার ডেলিভারি করুন এবং ক্লায়েন্টদের সন্তুষ্টি করার মত কাজ করুন।

৫। প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণ করুনঃ আপনার সেবার জন্য একটি মানসম্মত, যুক্তিসংগত এবং প্রতিযোগিতামূলক এমন এক ধরনের মূল্য নির্ধারণ করুন যাতে ক্লায়েন্ট আপনার সেবা পেতে আগ্রহী হয়।

ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে

ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকার ও এর বেশিও আয় করতে পারবেন। ইমেল মার্কেটিং হল একটি ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি যেখানে আপনি ইমেইল কে ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য বা আপনার সেবা প্রচার-প্রচারণা চালান।

এটি করার কিছু ধাপ রয়েছে যা অনুসরণ করলে আপনি মার্কেটিং করতে পারবেনঃ

১। বিজনেস ইমেইল আইডি তৈরি করুনঃ প্রথমে আপনাকে আপনার নিজের একটি বিজনেস ইমেইল আইডি তৈরি করতে হবে

২। ইমেইল মার্কেটিং টুলস ব্যবহার করুনঃ আপনি চাইলে কিছু ফ্রী বা পেইড ইমেইল মার্কেটিং টুলস ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি কিছু ওয়েবসাইটে রেজিস্টার করে রাখতে পারেন।

৩। ইমেইল লিস্ট তৈরি করুনঃ আপনি আপনার টার্গেট গ্রাহকদের ইমেইলের একটি লিস্ট তৈরি করুন।

৪। প্রচারমূলক ইমেইল পাঠানঃ এখন সেই টার্গেট গ্রাহকদের ইমেইল লিস্ট অনুসারে ইমেইল মার্কেটিং টুল ব্যবহার করে সাবস্ক্রাইবারদের কাছে প্রচারমূলক ইমেইল পাঠান।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার নিয়ম । জাফরান খাওয়ার উপকারিতা 

এ পদ্ধতিতে আপনি যে কোন পণ্য বা আপনার সেবার মার্কেটিং ইমেইল এর মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের কাছে একসাথে পাঠাতে পারবেন।

ইমেইল মার্কেটিং ব্যবহার করে প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করার জন্য নিচে এমন কিছু পদ্ধতি দেওয়া হল যা অনুসরণ করলে আপনি সহজেই তা উপার্জন করতে পারবেনঃ

১। এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ আপনি ইমেইল মার্কেটিং করার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক গ্রাহকদের কাছে পাঠাতে পারেন। যদি কোন গ্রাহক সেই লিংক থেকে কোন প্রোডাক্ট কিনে তাহলে আপনি সেই প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য কমিশন পাবেন।

২। কনটেন্ট শেয়ারিংঃ আপনি আপনার ব্লগ পোস্ট বা ইউটিউব ভিডিও লিংক ইমেইল এর মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে শেয়ার করে ভিজিটর বা ভিউ বাড়াতে পারেন।

৩। ই-কমার্স প্রোডাক্ট প্রচারঃ আপনি চাইলেই আপনার ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ই-কমার্স প্রোডাক্ট এর প্রচার করতে পারেন এবং সেগুলো বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।

৪। ক্লিক এবং টাস্ক বেজ কাজঃ আপনি ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন টাস্ক বা ক্লিক বেইজ কাজ করে এ উপার্জন করতে পারেন।

৫। ইমেইল লিস্ট বিল্ডিংঃ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম জেমনঃ Youtube, Instagram, Facebook থেকে ইমেইল সংগ্রহ করেন এবং তার একটি লিস্ট তৈরি করেন।

এখন আপনি যদি এই ধাপ অনুসরণ করে এবং নিয়মিত ইমেইল ক্যাম্পেন চালিয়ে যান তাহলে আশা করা যায় প্রতি সপ্তাহের 4000 টাকা বা তার চেয়ে বেশি উপার্জন করতে পারবেন। এটি নির্ভর করে আপনার ক্যাম্পেইন কতটা সফল এবং পণ্যের কতটা চাহিদা রয়েছে বাজারে এবং আপনার মার্কেটিং দক্ষতা কতটুকু তার উপর।

অনলাইনে গেমিং করার মাধ্যম

হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনেছেন আপনি যদি গেমিং করতে ভালোবাসেন এবং এটি যদি আপনার পছন্দনীয় কোন একটি বিষয় হয়ে থাকে তাহলে আপনি অনলাইন গেমিং করার মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা বা তার চেয়ে বেশি ইনকাম করতে পারবেন। 

নিচে কিছু উপায় দেওয়া হলো যা অনুসরণ করলে আপনি অনলাইন গেমিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেনঃ

১। গেমিং টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণঃ নিয়মিত অনলাইনে বিভিন্ন গেমিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আপনি সেই সব প্রতিযোগিতাতে অংশগ্রহণ করতে পারেন এবং সেখান থেকে জেতার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।

২। গেম খেলে রিওয়ার্ড ইনকামঃ কিছু জনপ্রিয় অ্যাপ রয়েছে যার মাধ্যমে গেম খেললে রিওয়ার্ড পাওয়া যায় এবং পরবর্তীতে টাকাতে রুপান্তর করা যায়।

৩। গেম স্ট্রিমিংঃ আপনি যদি একজন ভালো গেমার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি আপনার সেই গেমের ভিডিওটি বা স্ট্রিম লাইভ ইউটিউব বা টুইচ এর মত প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শন করার মাধ্যমে ভিউয়ারশীপ ও সাবস্ক্রিপশন থেকে ইনকাম করতে পারেন।

৪। গেম রিভিউ বা টিউটোরিয়াল তৈরিঃ আপনি ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলে সেখানে গেম এর বিভিন্ন রিভিউ বা টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।

৫। গেম ডেভেলপমেন্টঃ আপনি চাইলে নিজের গেম নিজেই তৈরি করে বা বিভিন্ন গেম ডেভেলপমেন্টে অংশগ্রহণ করে ইনকাম করতে পারেন। এবং আপনি এই গেম ডেভেলপমেন্ট বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতেও করতে পারেন।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হওয়ার মাধ্যমে

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হওয়ার মাধ্যমে আপনি প্রতি সপ্তাহে 4000 পর্যন্ত এমনকি তার চেয়েও বেশি উপার্জন করতে পারবেন। প্রথমত, আমরা জেনে নিই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কি? ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হলো এমন একজন পেশাদার ব্যক্তি যিনি কোন দূরের স্থানে থেকে বিভিন্ন প্রশাসনিক বা সহায়তা মূলক এবং ক্রিয়েটিভ কাজ সম্পাদন করে থাকে। 

এই কাজটি সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে করা হয় এবং তাদের বিভিন্ন ধরনের কাজের সহায়তা করা হয়। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ইমেইল ব্যবস্থাপনা, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং, ডাটা এন্ট্রি, গ্রাহক সেবা এবং অন্যান্য অফিস সাপোর্ট করে এমন কাজ।ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে গেলে আপনার তেমন কোন ডিগ্রী বা সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই। 

তবে কিছু দক্ষতা ও কোয়ালিফিকেশন থাকা উচিত যা আপনাকে সফল হতে সাহায্য করবে এগুলো হলোঃ

  • সেভি হওয়াঃ কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সম্পর্কিত ভালো জ্ঞান থাকতে হবে এবং সাধারণত ব্যবহার হয় এমন সফটওয়্যার এবং ব্যবসায়িক প্রোগ্রাম গুলির সাথে দক্ষতা থাকতে হবে।
  • কমিউনিকেশন স্কিলঃ আপনার ভালো লিখিত এবং মৌখিক ভিত্তিক কমিউনিকেশন করা দক্ষতা থাকতে হবে।
  • সময় ব্যবস্থাপনাঃ কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
  • মাইক্রোসফট অফিস এবং এক্সেলঃ আপনাকে কম্পিউটার মাইক্রোসফটের অফিস এবং এক্সেল এর কাজ ভালোভাবে পারতে হবে।
  • ওয়েব রিসার্চঃ ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে গেলে আপনাকে ইন্টারনেটে ভালো তথ্য খুঁজে বের করার দক্ষতা থাকতে হবে।
  • স্বাধীনতা এবং উদ্যোগঃ নিজের উদ্যোগে নিজেকে কাজ শুরু করতে হবে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা থাকতে হবে।

এছাড়াও অনেক বিষয় রয়েছে যেসব ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা আপনাকে এ সেক্টরে আরো সফল হতে সাহায্য করে।এখন আপনাদের জানাবো কিভাবে আপনি ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হওয়ার মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত এবং কি তার চেয়েও বেশি উপার্জন করতে পারবেন। 

নিচে দেওয়া এই সকল ধাপ অনুসরণ করলে আপনি ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হতে পারবেনঃ

১। পোর্টফোলিও বা ওয়েবসাইট তৈরি করুনঃ এখন আপনার কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা মানুষদের কে জানানোর জন্য একটি পেশাদার পোর্টফোলিও বা ওয়েবসাইট তৈরি করুন।

২। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে রেজিস্টার করুনঃ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ Upwork, Fiverr, Freelancer.com ইত্যাদিতে রেজিস্টার করুন এবং সেখানে কাজের আবেদন করুন।

৩। ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করুনঃ ক্লায়েন্টের সাথে ভালোভাবে যোগাযোগ করুন এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার সেবা প্রদান করুন।

৪। দক্ষতা উন্নয়ন করুনঃ আপনাকে নিয়মিত যেকোনো কাজের ক্ষেত্রেই আপনার দক্ষতা এবং স্কেল উন্নয়ন করতে হবে এবং নতুন নতুন কাজ শিখে নিজেকে সমৃদ্ধি করতে হবে।

ব্লগিং করার মাধ্যমে

প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা ইনকাম করার জন্য আরেকটি মাধ্যম হলো ব্লগিং করা। আপনি যদি ধৈর্য ধরে নিয়মিত কাজ করতে থাকেন তাহলে অবশ্যই ব্লগিং থেকে আপনি ভালো একটি ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন। 

নিচে এমন কিছু পদক্ষেপ সম্পর্কে বলা হয়েছে যা ফলো করলে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেনঃ

১। নিজের ব্লগ তৈরি করুনঃ প্রথমত আপনাকে একটি নিজস্ব ব্লগ সাইট তৈরি করতে হবে এবং নিয়মিত সেই ওয়েবসাইটে এমন কিছু কনটেন্ট প্রকাশ করতে হবে যা মানুষ বেশি গুগলে সার্চ করে।

২। ট্রাফিক বানানঃ আপনার ওয়েবসাইটে বেশি পরিমাণে ভিজিটর আনার জন্য SEO করেন এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করেন।

৩। গুগল এডসেন্সঃ এ পর্যায়ে আপনার ব্লগে আপনি গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন যুক্ত করুন এবং সেই অ্যাডগুলো কোন ভিজিটর যদি দেখে তাহলে তার মাধ্যমে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

৪। এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ এমনকি আপনি আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইটে আপনার ব্লগের বিষয়বস্তুর সাথে খাপ খায় এমন পণ্য বা সেবার প্রচার করতে পারেন এবং বিক্রির উপর কমিশন নিতে পারেন।

৫। স্পন্সরশিপ ও পার্টনারশিপঃ আপনি যেকোনো একটি ব্র্যান্ডের সাথে পার্টনারশিপ করে স্পন্সর হিসেবে কন্টেন্ট প্রকাশ করুন।

৬। পণ্য বিক্রি ও সেবা প্রদানঃ আপনার নিজস্ব কোন ডিজিটাল পণ্য থেকে থাকলে বা সেবা থাকলে তা ব্লগের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন।

প্রুফ রিডিং কাজের মাধ্যমে

আপনি প্রুফ রিডিং কাজ করার মাধ্যমেও প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা এমনকি তারচেয়ে বেশি ইনকাম করতে পারেন। আসুন প্রথমেই জেনে নেই প্রুফ রিডিং এর কাজটা কি? প্রফিডিং হলো যে কোন একটি গ্রন্থ বা কপির শেষ মুদ্রণের আগে তার ভুল সংশোধনের প্রক্রিয়াকে প্রুফ রিডিং বলে। 

একজন প্রুফ রিডারের কাজ হলঃ

  • যদি কোন যতি চিহ্ন ভুল হয় অথবা প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে যতি চিহ্ন দেওয়া বাদ পড়ে যায় তাহলে সেই মুদ্রণে যত চিহ্ন দেওয়া।
  • বাংলার বানানের ক্ষেত্রে যদি কোন ভুল হয় বা একই বইতে যদি একই বানান নানাভাবে লেখা হয় তাহলে সেই বানানগুলো সংশোধন করাই প্রুফ রিডারের কাজ।
  • উল্টে যাওয়া অক্ষর বা অপ্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত কোন অক্ষর যদি লেখাতে পাওয়া যায় তাহলে তা ঠিক করা।
  • একজন প্রুফ রিডার কে প্রমিত বানান, ত্রুটি মুক্ত শব্দচয়ন, আধুনিক বাংলা ভাষার গঠন পরিবর্তন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখতে হয় এবং ধৈর্যশীল ও তীক্ষ্ণদর্শী হতে হয়।

নিচে এমন কিছু ধাপ দেওয়া হল যা অনুসরণ করলে আপনি প্রুফ রিডিং করে উপার্জন করতে পারেনঃ

১। দক্ষতা অর্জনঃ প্রথমত আপনাকে প্রুফ রিডিং কাজের উপর খুব ভালো দপ্তর অর্জন করতে হবে। বাংলা বানান বাংলা ব্যাকরণ এবং পাঠ্যের গঠন সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকা জরুরী।

২। পোর্টফলিও তৈরিঃ আপনার কাজের নমুনা দেওয়ার জন্য একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন। যা দেখে আপনার সম্ভাব্য ক্লায়েন্টরা আপনার দক্ষতা বুঝতে পারবে।

৩। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস এ রেজিস্টার করুনঃ আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইবার, আপ ওয়ার্ক ইত্যাদিতে রেজিস্টার করতে পারেন এবং প্রুফ রিডিং সংক্রান্ত কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন।

৪। নেটওয়ার্কিংঃ আপনাকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, পেশাদার গ্রুপ এবং অনলাইন ফোরামে নেটওয়ার্কিং করতে হবে। যাতে আপনি আরও বেশি ক্লায়েন্ট ও প্রকল্প পেতে পারেন।

৫। গ্রাহক সেবাঃ আপনাকে আপনার ক্লায়েন্টদের সন্তুষ্ট রাখতে হবে এবং তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ সাবমিট করতে হবে। কেননা যেসব ক্লায়েন্ট আপনার কাজে সন্তুষ্ট হবে তারা পুনরায় আপনাকে আবার কাজ দেওয়ার আগ্রহ পাবে এবং অন্যান্য সম্ভাব্য ক্লাইন্টের কাছে আপনাকে সুপারিশ করতে পারে।

৬। সময় ব্যবস্থাপনাঃ আপনাকে আপনার কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করতে হবে এবং সময়মতো কাজ সাবমিট করতে হবে।

যদি আপনি এই ধাপগুলো অনুসরণ করেন এবং নিয়মিত প্রতিদিন কাজ করে যান আশা করা যায় আপনি এর মাধ্যমে ভালো একটি উপার্জন করতে পারবেন।

অফলাইন পদ্ধতিতে  প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা পর্যন্ত আয়

এ পর্যায়ে আমরা অফলাইন পদ্ধতিতে কিভাবে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা উপার্জন করতে পারি সে সম্পর্কে জানবো। অফলাইন পদ্ধতিতে টাকা উপার্জনের জন্য আপনাকে শারীরিক শ্রম এমনকি মেধা শ্রম দিতে হবে। একনজরে তালিকাটি দেখে নিইঃ

  1. টিউশনি করানোর মাধ্যমে
  2. ফটোগ্রাফি করার মাধ্যমে
  3. কৃষি কাজ করার মাধ্যমে
  4. ড্রাইভার হওয়ার মাধ্যমে
  5. মোবাইল রিপেয়ারিং করার মাধ্যম

টিউশনি করানোর মাধ্যমে

টিউশনি করানো আমরা কেইবা বুঝিনা। আমরা সবাই ছাত্র অবস্থায় শিক্ষকদের কাছে টিউশনি করে থাকি। 

এই টিউশনি করিয়ে আপনি প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা বেশি ইনকাম করতে পারবেন যদি আপনি নিচের দেওয়া পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করেনঃ

১। বাজার গবেষণাঃ আপনাকে আপনার এলাকার টিউশনির চাহিদা বুঝতে হবে এবং প্রতিযোগিতার হার বুঝতে হবে। আপনাকে দেখতে হবে আপনার এলাকায় কোন বিষয়ের উপর বেশি চাহিদা আছে ছাত্রদের টিউশনি পড়ার এবং কোন বিষয়ে ছাত্রদের টিউটর কম পাওয়া যায় সেই বিষয় নিয়ে আপনাকে এগোতে হবে।

আরো পড়ুনঃ কলার মোচার উপকারিতা ও অপকারিতা

২। যোগ্যতা এবং দক্ষতাঃ আপনি যে বিষয়ে ভালো দক্ষ সেই বিষয়ে আপনি টিউশনি করান। যদি প্রয়োজন হয় আপনি সে বিষয়ে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করুন তারপর টিউশনি পড়ানো শুরু করুন।

৩। বিজ্ঞাপনঃ আপনাকে টিউশনের জন্য বিজ্ঞাপন করতে হবে। আপনি সেটি স্থানীয় বাজারে, স্কুলের নোটিশ বোর্ডে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং অনলাইন ফোরামে দিতে পারেন।

৪। মূল্য নির্ধারণঃ আপনাকে আপনার সেবার জন্য একটি ভালো উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। বাজারের হার অনুযায়ী এবং আপনার দক্ষতা অনুযায়ী মূল্য ঠিক করতে হবে।

৫। সময় ব্যবস্থাপনাঃ আপনাকে আপনার সময়সূচি ঠিক করতে হবে এমন ভাবে যাতে নিয়মিত ক্লাস  নিতে পারেন সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতি সপ্তাহে যথেষ্ট সংখ্যক ক্লাস নিয়ে আপনার লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।

৬। মান বজায় রাখাঃ এমনভাবে টিউশনি করান যাতে ছাত্ররা আপনার টিউশনির ফলে ভালো ফলাফল আনতে পারে এবং তারা সন্তুষ্ট হতে পারে। কেননা ছাত্র সন্তুষ্ট হলে আপনার এই টিউশনের বিজ্ঞাপন তারা মুখে মুখে ছড়িয়ে দিবে এবং নতুন ছাত্র পাওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি হবে।

ফটোগ্রাফি করার মাধ্যমে

আপনি অফলাইনে ফটোগ্রাফি করার মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন। ফটোগ্রাফি বলতে কোন প্রতিষ্ঠানের ইভেন্ট বা ব্যক্তিগত পোর্টফোলিও তৈরি বা বিভিন্ন বিজ্ঞাপন তৈরীর জন্য ফটো তুলে দেওয়া কে বোঝায়। 

নিচে এমন কিছু পদক্ষেপ দেওয়া হল যা অনুসরণ করলে আপনি ফটোগ্রাফি করার মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেনঃ

১। পোর্ট পোলিও তৈরিঃ আপনাকে আপনার নিজের জন্য পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে। সেজন্য আপনার সেরা কিছু ফটো গ্রাফি গুলো নির্বাচন করে পোর্টফলিওতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যাতে ক্লায়েন্টরা আপনার পোর্টফোলিও দেখে আপনার কাজের মান ও দক্ষতা সম্পর্কে অবহিত হতে পারে।

২। বাজার গবেষণাঃ আপনাকে আপনার এলাকার ফটোগ্রাফির চাহিদা ও কত রেটে ফটোগ্রাফি চলছে সে সম্পর্কে গবেষণা করতে হবে। যেমনঃ বিয়ে বাড়িতে, জন্মদিনে বা কর্পোরেট ইভেন্টের জন্য ফটোগ্রাফারের চাহিদা থাকতে পারে তা জানতে হবে।

৩। বিজ্ঞাপন ও প্রচারণাঃ আপনাকে আপনার পরিষেবা প্রচার করতে হবে। সেজন্য স্থানীয় বাজারে সোশ্যাল মিডিয়াতে এবং ফটোগ্রাফি সংক্রান্ত গ্রুপগুলোতে বেশি করে প্রচার করতে হবে।

৪। যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুনঃ আপনি বিভিন্ন ফটোগ্রাফার, ইভেন্ট প্লানার এবং ভেন্যু মালিকদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করার মাধ্যমে আপনার ফটোগ্রাফার ক্লায়েন্ট বৃদ্ধি করতে পারেন।

৫। মান বজায় রাখুনঃ আপনার মূল লক্ষ্য আপনি উচ্চমানের কাজ দিয়ে আপনার গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করবেন। আপনি যদি গ্রাহককে সন্তুষ্ট করতে পারেন ভাল কাজ দিয়ে তাহলে ক্লায়েন্ট আপনাকে আরো রেফারেন্স এবং ক্লায়েন্ট এনে দেবে।

৬। ফটোগ্রাফি ক্লাস নিনঃ আপনাকে নিয়মিত প্রত্যেকটা কাজেই দক্ষতা বাড়াতে থাকতে হবে এবং নতুন নতুন ট্রেন্ড শিখতে হবে সেজন্য ফটোগ্রাফির ক্লাস করা জরুরী।

কৃষি কাজ করার মাধ্যমে

প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে চাইলে কৃষিকাজ একটি অন্যতম মাধ্যম। এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করার ফলেই আপনি উপার্জন করতে পারবেন। 

উপার্জন করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেনঃ

১। বাজার গবেষণাঃ আপনাকে আপনার এলাকার বাজার সম্পর্কে গবেষণা করতে হবে। আপনার এলাকায় কোন কৃষি পণ্যের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এবং তার বাজার মূল্য কেমন তা সম্পর্কে জানতে হবে।

২। উচ্চ ফলনশীল ফসল নির্বাচনঃ এ পর্যায়ে আপনাকে এমন ফসল নিয়ে চাষ করতে হবে যে ফসলের ফলন ভালো এবং দ্রুত বিক্রি হয়।

৩। সঠিক ফসল চাষের পদ্ধতিঃ আপনি যদি সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে, সঠিক চাষাবাদ পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনার ফসল চাষ করে থাকেন তাহলে ফসলের সর্বোত্তম ফলন আশা করা যায়।

৪। বাজারজাতকরণঃ এ পর্যায়ে আপনাকে আপনার ফসল বিক্রি করার জন্য স্থানীয় বাজার বা অনলাইন প্লাটফর্মে যোগাযোগ করতে হবে যাতে আপনি ফসল বিক্রি করতে পারেন।

৫। খরচ নিয়ন্ত্রণঃ আপনাকে আপনার উৎপাদন খরচ কমাতে হবে যাতে কম টাকাতে ফসল বিক্রি হলেও লাভ কম না হয়।

৬। সময় ব্যবস্থাপনাঃ আপনাকে কাজের সময় এবং ফসল চাষ করার একটি সময় সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে। টাইম কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে।

ড্রাইভার হওয়ার মাধ্যমে

ড্রাইভার হওয়ার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা বা তার চেয়েও বেশি উপার্জন করতে পারবেন। 

তার জন্য নিম্নলিখিত উপায় গুলো অনুসরণ করতে পারেনঃ

১। রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মে যোগ দিনঃ বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম যেমন Uber, Pathao এসবের মত বিভিন্ন প্লাটফর্মে ড্রাইভার হিসেবে নিবন্ধন করুন ।

২। ব্যস্ত সময়ে ড্রাইভ করুনঃ আপনাকে ব্যস্ত সময়ে এবং চাহিদা বেশি থাকে যে সব এলাকাতে এবং প্রচুর ক্লায়েন্ট পাওয়া যায় যেসব এলাকাতে সেসব এলাকাতে ড্রাইভ করে বেশি উপার্জন করতে হবে।

৩। প্রমোশন ও বোনাস সুবিধা গ্রহণ করুনঃ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এর প্রমোশন ও বোনাস অফারগুলি সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে এবং সেই অফারগুলি গ্রহণ করুন।

৪। খরচ নিয়ন্ত্রণ করুনঃ আপনাকে গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ, বীমা, জ্বালানি এই সবগুলো খরচ কমানোর জন্য পরিকল্পনা করতে হবে।

৫। টিপস গ্রহণ করুনঃ আপনার উপার্জন বাড়াতে আপনি আপনার যাত্রীদের কাছ থেকে টিপস গ্রহণ করতে পারেন।

৬। সঠিক ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করুনঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স, জাতীয় পরিচয় পত্র, ফিটনেস সার্টিফিকেট আছে কিনা তা যাচাই করে সাথে রাখুন।

মোবাইল রিপেয়ারিং করার মাধ্যম

আপনি যদি প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে চান তাহলে মোবাইল রিপিয়ারিং একটি সহজ ও সঠিক পছন্দ হতে পারে। আপনি যদি ইচ্ছা করে থাকেন যে মোবাইল রিপেয়ারিং এর মাধ্যমে উপার্জন করবেন 

তাহলে নিচে দেওয়া উপায়গুলো অবলম্বন করুনঃ

১। মোবাইল রিপেয়ারিং কোর্সঃ  প্রথমেই আপনাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মোবাইল রিপেয়ারিং সম্পর্কে বিশেষ বিশেষ কোর্স অফার করে সেখান থেকে আপনাকে মোবাইল ডিভাইসে হার্ডওয়ার সফটওয়্যার মেরামতের উপর বিস্তারিত কোর্স করতে হবে।

২। অনলাইন রিসোর্সঃ এখনকার ইন্টারনেটে অনেক অনলাইন রিসোর্স এবং গাইড পাওয়া যায় যে সব গুলো আপনার মোবাইল রিপেয়ারিং শিখতে আরো সহজ করে তুলবে।

৩। টুলস এবং উপকরণঃ মোবাইল রিপেয়ারিং এর জন্য আপনাকে বিভিন্ন টুলস সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে এবং তার প্রাক্টিক্যাল ব্যবহার জেনে থাকতে হবে। যেমন মাল্টিমিটার, সোল্ডারিং, আয়রন, স্ক্রূ ড্রাইভার সেট ইত্যাদি।

৪। প্রাক্টিক্যাল অভিজ্ঞতাঃ বাস্তবিক মোবাইল ডিভাইস এর উপর হাতে কলমে রিপেয়ার করার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে আপনাকে।

৫। সার্ভিস সেন্টারে কাজঃ অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য আপনি বিভিন্ন মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারে কাজ করতে পারেন।

৬। সার্ভিস দেওয়ার জায়গা নির্ধারণঃ আপনাকে আপনার সার্ভিস ক্লায়েন্টের দেওয়ার একটি জায়গা নির্ধারণ করতে হবে। আপনি এমন কোন জায়গা নির্ধারণ করতে পারেন যেখানে কোন মোড় হবে যেখানে মানুষের সমাগম বেশি হয়, যেখানে মানুষ বিভিন্ন জিনিস ঠিক করার জন্য যাতায়াত করে।

৭। সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করুনঃ আপনাকে আপনার সার্ভিসের জন্য উপযুক্ত একটি চার্জ নির্ধারণ করতে হবে। যাতে ক্লায়েন্টস এবং আপনার উভয়ের জন্য লাভজনক হয়। এমন সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করবেন না যাতে ক্লায়েন্ট অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে।

৮। বিশ্বস্ততা অর্জন করুনঃ আপনাকে আপনার ক্লাইন্টদের ভালো সার্ভিস দেওয়ার মাধ্যমে এবং আপনার ক্লায়েন্টদের পণ্যের কোন পার্টস চুরি না করার মাধ্যমে বিশ্বস্ততা অর্জন করতে হবে। তাহলে আপনার ক্লাইন্টরাই আপনার সার্ভিসের বিজ্ঞাপন মুখে মুখে করে দিবে। আপনার নাম চতুরদিকে ছড়িয়ে দিবে।

৯। অনলাইন উপস্থিতি বাড়ানঃ আপনি চাইলে অনলাইনে আপনার ব্যবসার প্রচার ও সোশ্যাল মিডিয়ায়, বিভিন্ন ওয়েবসাইট এমনকি অনলাইন মার্কেটপ্লেস আপনার সার্ভিস অফার করতে পারেন।

১০। হোম সার্ভিস অফার করুনঃ আপনি ইচ্ছা করলে গ্রাহকের বাড়িতে গিয়ে মোবাইল মেরামতের সার্ভিস দিয়ে আসতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি অতিরিক্ত চার্জ নিবেন।

১১। দ্রুত সার্ভিস দিনঃ আপনার ক্লায়েন্টকে খুশি করার জন্য যত দ্রুত সম্ভব সার্ভিস দিয়ে তাদের সন্তুষ্ট করুন এবং পুনরায় আসার জন্য উৎসাহিত করুন।

আশা করা যায় উপরে উল্লেখিত নিয়ম গুলি অনুসরণ করার মাধ্যমে মোবাইল রিপেয়ারিং এ ভালো ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নবান্ন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url